• হিমাচলে সঙ্কটে কংগ্রেস সরকার, বিদ্রোহী ৬ কংগ্রেস বিধায়কের সঙ্গে আরও ৫ বিজেপি শিবিরে 
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১০ মার্চ ২০২৪
  • সিমলা , ৯ মার্চ  ? হিমাচল প্রদেশে সঙ্কটে কংগ্রেস সরকার। লোকসভা নির্বাচনের আগে সেই সঙ্কট আরও বাড়ল। হিমাচলের বিদ্রোহী ৬ জন কংগ্রেস বিধায়কের দলে যোগ দিলেন আরও পাঁচ জন। সূত্রের খবর, তাঁদের সকলেরই গন্তব্য ছিল বিজেপি শাসিত উত্তরাখণ্ড। এর ফলে হিমাচলে মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখুর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারের পতনের সম্ভাবনা আরও বাড়ল বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। 

    সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বিজেপি শাসিত আর এক রাজ্য হরিয়ানার নম্বর প্লেট বসানো একটি বাসে চেপে শনিবার সকালে ওই বিধায়কেরা উত্তরাখণ্ডের হৃষিকেশে একটি বিলাসবহুল হোটেলে যান। ওই হোটেলে দেখা যায় কয়েক জন বিজেপি নেতাকেও। বৃহস্পতিবার দিল্লি গিয়ে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলার পরে সুখু বিদ্রোহী ৬ জন বিধায়ককে ফিরিয়ে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘‘যদি কেউ নিজের দোষ বুঝতে পারে তবে সেই ব্যক্তিকে আরও একটি সুযোগ পাবেন।’’  এবার সেই বিদ্রোহীরাই চলে গেলেন বিজেপির আশ্রয়ে। অর্থাৎ তাঁদের কংগ্রেসের ফেরার সম্ভাবনা কার্যত নেই বললেই চলে। ফলে হিমাচলের কংগ্রেস সরকার ফের সংকটে পড়ে গেল।
     
    হিমাচল বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখুর সরকারের বাজেট প্রস্তাব সংক্রান্ত অর্থবিলে পক্ষে ভোট না-দেওয়ায় গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ‘দলত্যাগ বিরোধী আইনে’ হিমাচল বিধানসভা স্পিকার কুলদীপ সিংহ পাঠানিয়া বিদ্রোহী ৬ জন বিধায়কের পদ খারিজ করেছিলেন। যাঁদের পদ খারিজ হয়, তাঁরা হলেন, রবি ঠাকুর, রাজেন্দ্র রানা , চৈতন্য শর্মা,  সুধীর শর্মা ,  দেবেন্দ্র ভুট্টো , ইন্দ্রদত্ত লক্ষণপাল ।
     
    সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, হিমাচলের বিদ্রোহী ৬ জন কংগ্রেস বিধায়কের দলে আরও পাঁচ জন যোগ দিয়েছেন। তাঁরা সকলেই পাড়ি দিয়েছেন বিজেপি শাসিত উত্তরাখণ্ডে। যে পাঁচজন তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৩ জন নির্দল বিধায়ক। ২ জন কংগ্রেসের। এই মুহূর্তে মোট ১১ জন বিধায়ক রয়েছেন বিদ্রোহী শিবিরে।
     
    গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভা ভোটের সময় ওই  ৬ জন কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপির প্রার্থী হর্ষ মহাজনের সমর্থনে ‘ক্রস ভোটিং’ করেছিলেন। ফলে কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি হেরে যান। ৬৮ সদস্যের বিধানসভায় উভয় পক্ষই ৩৪টি করে ভোট পাওয়ায় লটারির মাধ্যমে জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয়।৬৮ আসনের হিমাচল বিধানসভায় কংগ্রেসের আসনসংখ্যা ছিল ৪০। এ ছাড়া তিন জন নির্দল বিধায়ক সুখু সরকারকে সমর্থন করছিলেন। কিন্তু ছ’জন বিদ্রোহীর মতোই তাঁরাও রাজ্যসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দিয়েছিলেন।
     
    হিমাচল বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার ম্যাজিক সংখ্যা ৩৫। ৬ জন বিধায়কের পদ খারিজ হওয়ায় এখন রয়েছেন ৬২ জন। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অঙ্ক নেমেছে ৩৩-এ। ৬ জনকে বহিষ্কারের পরে কংগ্রেসের হাতে ছিল ৩৪ বিধায়ক। কিন্তু তাঁদের পাঁচ জন উত্তরাখণ্ডে পাড়ি দেওয়ায় তা ২৯-এ নামতে চলেছে। বিজেপির রয়েছে ২৫ বিধায়ক। অর্থাৎ তিন নির্দলকে পাশে পেলে দাঁড়াবে ২৮-এ। বিদ্রোহী ৬ জনকে স্পিকার আস্থাভোটে যোগদান করতে না-দিলেও বাকি পাঁচ জনকে পাশে পেলে হিমাচলে পড়ে যেতে পারে কংগ্রেস সরকার ।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)