• লোকসভার দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই ইস্তফা কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েলের, তুঙ্গে জল্পনা
    ২৪ ঘন্টা | ১০ মার্চ ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: লোকসভা ভোটের মুখে পদ ছাড়লেন নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল। জাতীয় নির্বাচন কমিশনে মোট ৩ জন কমিশনার থাকেন। আগে থেকেই একটি পদ ফাঁকা ছিল। অরুণ গোয়েলের ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি দৌপদী মুর্মু। ফলে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনে থেকে গেলেন একমাত্র মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। ফলে গোটা লোকসভা নির্বাচন প্রক্রিয়াটা সামলাতে হতে পারে রাজীব কুমারকেই। তবে আরও একজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করা হবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

    একেবারে লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার আগে ঠিক কী কারণে তাঁর পদ থেকে অরুণ গোয়েল সরে গেলেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এনিয়ে রাজনৈতিক জলঘোলা শুরু হয়েছে। একটা বিষয় মনে করিয়ে দেওয়া যেতে পারে অরুণ গোয়েলের নিয়োগকে চ্যালেঞ্চ করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। তবে তা খারিজ হয়ে যায়। এনিয়ে তৃণমূল কংগ্রসের অভিযোগ, কমিশনের প্যানেলের বাকী দুজন প্রধানমন্ত্রীর পছন্দের কেউ থাকতে পারেন। তবে পাশাপাশি আরও একটি জল্পনা উঠে আসছে। সেটি হল, অরুণ গোয়েল লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থীও হতে পারেন। কারণ বিরোধীদের বহু আগে থেকেই অভিযোগ ছিল অরুণ গোয়েল শাসকদল ঘেঁসা। ফলে অরুণ গোয়েলের ইস্তফা বহু জল্পনার জন্ম দিচ্ছে।অরুণ গোয়েলের ইস্তফা নিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, জল্পনা কাল হোক পরশু হোক স্পষ্ট হবে। তবে বিজেপি রাজত্বে সবই সম্ভব। চিফ জাস্টিস যদি পছন্দমেতা রায় দেওয়ার জন্য পুরস্কার পান তাহলে সাংবিধানিক ব্য়বস্তাকে কলুষিত করার দায় প্রধানমন্ত্রীর। নির্বাচন কমিশনের নিরাপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তো উঠবেই। নির্বাচন কমিশনারের পদ ছেড়ে কেউ যদি ভোটে দাঁড়াবার কথা কেউ ভাবেন তাহলে তো প্রশ্ন উঠবেই। বিচারপতির পদ থেকে কেউ যদি রাজনীতিতে এসে ভোটে দাঁড়ান তাহলে তো প্রশ্ন উঠবেই।এনিয়ে তৃণমূল নেতা অরূপ চক্রবর্তী বলেন, তিনজনের নির্বাতন কমিশন ছিল। সেখান থেকে অনুপ পান্ডে চলে গিয়েছেন অবসর নিয়ে। তারপর অরুণ কুমার ইস্তফা দিলেন। এখন রয়ে গেলেন একমাত্র রাজীব কুমার। তিনি গোটা দেশের ভোট প্রক্রিয়া পরিচালনা করবেন। অর্থাত্ বোঝাই যায় গণতন্ত্রের মূল জায়াগাটা কীভাবে ধ্বংস করা হচ্ছে। যদি নির্বাচন কমিশনার ভোটে লড়েন, নির্বাচন কমিশনারের পদ যদি প্রহসনে পরিণত হয় তাহলে আগামীতে ভারত তালিবান ও বাংলাদেশের মধ্য়ে কোনও তফাত থাকবে না।অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতা সৌম্য আইচ রায় বলেন ভারতের মতো দেশে যারা নির্বাচন পরিচালনা করবেন তারাই সরে যাচ্ছেন। তাহলে কি কোথাও কোনও চাপ কাজ করছে? এমন কিছু উনি করতে রাজি হচ্ছেন না যা ওঁকে করতে বলা হচ্ছে?নাকি বড় কোনও প্রলোভন ওকে দেওয়া হয়েছে? নাকি উনি ভোটে দাঁড়াতে চলেছেন। তা যদি হয় তাহলে ভারত ব্যানানা রিপাবলিতের দিকে যাচ্ছে।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)