• আইজি রায়গঞ্জ রেঞ্জের পদ থেকে ইস্তফা, লোকসভা ভোটে প্রার্থী হচ্ছেন আইপিএস প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়'
    ২৪ ঘন্টা | ১০ মার্চ ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: লোকসভা ভোটের আগে স্বেচ্ছাবসর নিলেন রায়গঞ্জ রেঞ্জের আইজি আইপিএস অফিসার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। মেয়াদ শেষের আগেই আচমকাই চাকরিতে ইস্তফা দেওয়ায় তিনি রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন এমন একটি জল্পনা প্রবল হচ্ছে। প্রায় ৬ বছর চাকরির মেয়াদ থাকতেই ইস্তফা দিলেন প্রসূন। সেই ইস্তফাপত্র গ্রহণও করেছে রাজ্য সরকার। জল্পনা রয়েছে বালুরঘাট কেন্দ্র থেকে তিনি প্রার্থী হতে পারেন।

    সূত্রের খবর শাসক দলে যোগ দিতে পারেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। শোনা যাচ্ছে তাঁকে বালুরঘাট কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস।  উল্লেখ করা যেতে পারে ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের মাস তিনেক আগে চন্দননগর পুলিস কমিশনারেটের পুলিস কমিশনার হুমায়ুন কবীর চাকরি থেকে অবসর নেন। সেই অবসর নেওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। পরে তিনি পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়াই করেন এবং জয়ী হন ও মন্ত্রীও হন। প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় মালদহ ও দিনাজপুরে এসপি দায়িত্বে ছিলেন। পরবর্তীকালে রায়গঞ্জ রেঞ্জের আইজি পদে তাঁকে নিয়োগ করা হয়। বালুরঘাট অঞ্চলে বেশ পরিচিত রয়েছে প্রসূনবাবুর। ফলে সেই জায়গাতেই তাঁকে প্রার্থী করার কথা ভাবছে তৃণমূল। এমনটাই সূত্রে খবর।হুমায়ুন কবীর চাকরি ছেড়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ও ভোটে দাঁড়াতে পারেন বলে একটা জল্পনা তৈরি হয়েছে। তবে এরকম ঘটনা প্রথম নয়। এর আগে আইপিএস রচপাল সিং ও সুলতান সিং প্রার্থী হয়েছিলেন। তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন প্রমোটি আইপিএস চৌধুরী মোহন জাটুয়া।এবার লোকসভা ভোটের আগে এই পুলিস কর্তার রাজনীতিতে যোগদানের সম্ভাবনার কথা যেমন উঠে আসছে তেমনি তার থেকেও বড় চমক দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়।  আগস্টেই তাঁর অবসর নেওয়ার কথা ছিল। তবে তার আগেই তিনি বিচারপতির পদ ছেড়ে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। শনিবার শিলিগুড়িতে নরেন্দ্র মোদীর সভাতে তাঁকে দেখাও গিয়েছে। ওই মঞ্চে তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেছেন, তৃণমূল একটি দুর্বৃত্তের দল। তাদের একটা ভোটও দেবেন না।অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় শিলিগুড়ির সভায় আরও বলেন, বিজেপিতে যোগ দিয়েছি কর্মী হিসবে। রাজ্যে এমন একটি দল ক্ষমতায় রয়েছে যারা দুর্বৃত্ত। পরীক্ষায় যারা বেশি নম্বর পেয়েছে তাদের চাকরি দেওয়া হয়নি। যারা কম নম্বর পেয়েছে তাদের কাছে টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে। বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থাটাকে শেষ করে দিয়েছে এরা। খাদ্য ব্যবস্থায় দুর্নীতি। আবাসেও দুর্নীতি। এই দল ছেড়ে সবাই চলে যাচ্ছেন। কেউ এই দুর্বৃত্ত দলে থাকতে চান না।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)