শেখ শাহাজানকে ফের সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ আদালতের
২৪ ঘন্টা | ১০ মার্চ ২০২৪
বিমল বসু: অনেক কাটখড় পুড়িয়ে সন্দেশখালি কাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে হাতে পেয়েছিল সিবিআই। রবিবার শেখ শাহজাহানের হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ফের তাঁকে বসিরহাট আদালতে তোলা হয়। সকালেই সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে নিয়ে বসিরহাট পৌংছে যায় সিবিআইয়ের টিম। ফের তাঁকে আদালতে তোল হলে বিচারক শেখ শাহজাহানকে ৪ দিন সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন।
গত ৫ জানুয়ারি ইডি অফিসারদের উপরে হামলা চলে সন্দেশখালিতে। রেশন দুর্নীতির তদন্তে ওইদিন সকালেই সন্দেশখালিতে শেশ সাহজাহানের বাড়িতে পৌঁছে যায়। তাঁরা শাহাজাহানের বাড়ির তালা খোলার চেষ্টা করেন। এরপরই ইডি আধিকারিকদের উপরে হামলা চালায় স্থানীয় মানুষজন। মাথা ফাটে ইডি অফিসারের। এরপর শেখ শাহজাহানের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়ে। জারি হয়ে যায় লুক আউট সার্কুলার। একের পর অভিযানা চালিয়ে শাহজাহানের সঙ্গী দুই সঙ্গীকে গ্রেফতার করে পুলিস। কিন্তু শাহজাহান অধরাই খেরে যায়। শেষপর্যন্ত টানা ৫৬ দিন পর মিনাখাঁ থেকে ধরা পড়ে শেখ শাহজাহান। তাকে ধরে আনে রাজ্য় পুলিস।প্রশ্ন উঠেছিল কেন এতদিন শাহজাহানকে ধরেনি পুলিস? রাজ্য সরকারের বক্তব্য ছিল আদালতের একটা আইনি বাধা ছিল। তাই শাহাজাহানকে ধরা যাচ্ছে না। শেষপর্যন্ত হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় শাহজাহানকে ধরপে পারে ইডি, সিবিআই কিংবা রাজ্য় পুলিস। ওই নির্দেশের পরপরই শাহজাহানকে সন্দেশখালি থেকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিস। সঙ্গে সঙ্গে তাকে আদালতে তুলে কলাকাতায় আনা হয়। শেষপর্যন্ত আদালত নির্দেশ দেয় শাহাজাহানকে তুলে দিতে হবে সিবিআইয়ের হাতে। তার পরেও একবার সিবিআইকে ফেরত পাঠিয়ে দিয়ে দ্বিতীয় দিন সিবিআইয়ের হাতে শাহজাহানকে তুলে দেওয়া হয়। তার পর একদফায় ৪ দিন সিবিআই হেফাজতে পেয়েছে সিবিআই। এরপর ফের একদফা সিবিআই হেফাজত।