• ব্রিগেডে না এসে পুরুলিয়ায় কুড়মিদের সভায় ভিড় কেন ঝাড়গ্রামবাসীর'
    ২৪ ঘন্টা | ১০ মার্চ ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আজ, রবিবার কলকাতার ব্রিগেড ময়দানে তৃণমূলের 'জনগর্জন সভা' আয়োজিত। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে কর্মী-সমর্থকেরা দলে দলে কলকাতায় আসছেন। তবে, এবার ঝাড়গ্রামের ছবিটা একটু আলাদা বলেই মত, সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক মহলের। 

    ঝাড়গ্রাম থেকে ব্রিগেডের উদ্দেশ্যে যাওয়া তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের যোগদান এবার উল্লেখযোগ্য ভাবে কম বলে মনে করা হচ্ছে। প্রতিবার ঝাড়গ্রাম থেকে একাধিক ট্রেনে ধাপে ধাপে কর্মীরা রওনা হন কলকাতার উদ্দেশ্যে। জামবনি, বেলপাহাড়ি, বিনপুর, ঝাড়গ্রাম-- বিভিন্ন শহরের কর্মীরা ট্রেনে একসঙ্গে দল বেঁধে কলকাতা যান।এবার কিন্তু ছবিটা আলাদা। এবার ঝাড়গ্রাম থেকে ট্রেনে কোনও নেতা-কর্মীদের যেতে দেখা যায়নি। বাস ভাড়া করে রাত থেকেই তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন বটে। তবে সেই বাসের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য ভাবে কম। লোকসভা ভোটের আগে ঝাড়গ্রাম তৃণমূলের এই অবস্থা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।অপর দিকে, তৃণমূলের থেকে অনেক বেশি লোক এবার বাস, ট্রাক, ছোটো গাড়ি ভাড়া করে পুরুলিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। কেন পুরুলিয়া? পুরুলিয়ায় আজ কুড়মিদের সভা আছে। জানা গিয়েছে, সেই সভায় যোগ দিতেই ঝাড়গ্রাম ও ঝাড়গ্রাম সন্নিহিত এলাকা থেকে দলে দলে কুড়মিরা রওনা দিয়েছেন।তবে, রাজ্যের বাকি জায়গায় ছবিটা মোটামুটি একই রকম ছিল। রবিবার ভোরের আলো ফোটার পরেই কাটোয়া স্টেশন থেকে ট্রেনে করে কলকাতার ব্রিগেডের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন অগণিত সমর্থক। কাটোয়া মহকুমা থেকে শুরু করে কাটোয়া সংলগ্ন মুর্শিদাবাদ, নদিয়া এমনকি উত্তরবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকগন কাটোয়া স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে রওনা দিয়েছিলেন জনগর্জন সভার উদ্দেশ্যে। আসানসোল স্টেশন থেকেও ট্রেনে করে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন সমর্থকেরা। আসানসোল শিল্পাঞ্চলের পার্শ্ববর্তী এলাক থেকে শুরু করে জামুরিয়া, রানিগঞ্জ অন্ডাল, কুলটি, বারাবনি, বার্ণপুর-সংলগ্ন এলাকা ছাড়া বাংলা-লাগোয়া ঝাড়খণ্ড থেকেও বহু তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকগন ট্রেন ধরে রওনা দিয়েছিলেন আজকের জনগর্জন সভার উদ্দেশ্যে। নবদ্বীপ স্টেশন থেকে রেল পথে কলকাতার  উদ্দেশ্যে রওনা দিলেছিলেন কালনার পূর্বস্থলীর দক্ষিণ বিধান সভার বিধায়ক তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। দলীয় পতাকা নিয়ে প্রথম সারিতেই ছিলেন তিনি। মানুষ আসা শুরু করেছিলেন দুর্গাপুর এবং খড়গপুর থেকেও। কালই বর্ধমান স্টেশন চত্বরে জমায়েত হয়েছিলেন তৃণমূল কর্মীরা। মূলত বর্ধমান শহর ও শহর-সংলগ্ন এলাকার তৃণমূলকর্মীরা এখানে জমায়েত হন। আগত কর্মীদের জন্য স্টেশন চত্বরে খোলা হয় সহায়তা কেন্দ্র। এখানে তৃণমূলকর্মীদের টিফিন, জল ও ব্যাজ দেওয়া হয়। সহায়তা কেন্দ্রে উপস্থিত বিধায়ক খোকন দাস, শম্পা ধারা-সহ একাধিক তৃণমূল নেতৃত্ব।ব্রিগেডে জনগর্জন সভার গর্জন শোনা গেলে শহরতলির ট্রেনে। কাতারে-কাতারে তৃণমূল কর্মীসমর্থক ব্রিগেডমুখী। ব্যান্ডেল হাওড়া, বর্ধমান হাওড়া কাটোয়া হাওড়া লোকাল সহ শহরতলির লোকাল ট্রেনে সকাল থেকে উপচে পড়া ভিড়। তৃণমূল পতাকা নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে জেলা থেকে হাওড়ায় সেখান থেকে ব্রিগেড। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ভাঙড় থেকে ক্যানিং থেকে ট্রেনে ও বাসে করে তৃণমূলকর্মী সমর্থক ও বিধায়করা রওনা দিলেন ব্রিগেডের উদ্দেশ্যে। এমনকি সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা থেকেও নদীপথে পারাপার হয়ে ক্যানিং থেকে ট্রেনে চেপে ব্রিগেডের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন তৃণমূলের সমর্থকরা।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)