সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জনতার দরবারেই জনতার প্রতিনিধিদের নাম ঘোষণা। ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে তৃণমূল যে এই চমক দিতে চলেছে, সে খবর আগেই জানিয়েছিল সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক। রবিবারের ব্রিগেডে দেখাল চমকের সেখানেই শেষ নয়। প্রার্থী ঘোষণার রীতি পুরোপুরি বদলে গিয়েছে। সাবেকি পন্থা ভুলে আধুনিক কায়দায় জায়ান্ট স্ক্রিনে প্রার্থীদের নাম দেখিয়ে তাঁদের দিয়ে র?্যাম্প ওয়াক করানো হল। আরও তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, নেত্রীর আশীর্বাদ নিয়ে এবার প্রার্থী ঘোষণা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন ব্রিগেডের মঞ্চে ভাষণের শুরুতেই মমতা বলে দেন, ?শেষে একটা চমক আছে। বাংলার ৪২ আসনের প্রার্থীরা মঞ্চে তৈরি র?্যাম্পে হাঁটবেন।? তখনও মনে হচ্ছিল মুখ্যমন্ত্রী নিজেই প্রার্থী তালিকাটি ঘোষণা করবেন। কিন্তু শেষে মমতা (Mamata Banerjee) নিজেই অভিষেককে ডেকে বললেন, প্রার্থীদের নিয়ে মঞ্চে আসতে। তার পর দেখা গেল নেত্রীর আশীর্বাদ নিয়ে মঞ্চে দাঁড়িয়ে একে একে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।তবে উল্লেখযোগ্য হল, নিজের নামটি অভিষেক (Abhishek Banerjee) ঘোষণা করেননি। অরূপ বিশ্বাস এগিয়ে এসে দলের সাধারণ সম্পাদকের ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করলেন।
প্রথা অনুযায়ী, প্রতিটি নির্বাচনেই কালীঘাটে দলীয় দপ্তরে সাংবাদিক বৈঠক করেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সচরাচর ভোট ঘোষণার দিন বা দু-একদিন আগে-পরে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। এবার দুটি রীতিই বদলেছে। প্রকাশ্য জনসভায়, তাও ব্রিগেডের ঐতিহাসিক ময়দানে প্রার্থী ঘোষণা, তৃণমূলের জন্য তো বটেই, বঙ্গ রাজনীতিতেই বেনজির। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া অন্য কেউ তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করছেন, সেটা আরও বেনজির।
তৃণমূলের অন্দরে নবীন এবং প্রবীণরা যে একে অপরের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই কাজ করেন, সেটা আরও একবার দেখা গেল ব্রিগেডের মঞ্চে। যেখানে দলনেত্রী স্বয়ং দলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলে দিলেন প্রার্থী ঘোষণার গুরুদায়িত্ব। আসলে মমতা এখন থেকেই ভবিষ্যতের কথা ভাবা শুরু করেছেন। আগামী দিনে যে তরুণ প্রজন্মকেই দলের দায়িত্ব নিতে হবে, সেটাও এদিন বুঝিয়ে দিলেন নেত্রী। মঞ্চে যেমন নবীন-প্রবীনের সমন্বয় দেখা গেল, তেমন সমন্বয় দেখা গিয়েছে প্রার্থী তালিকাতেও। সেখানে যেমন সুদীপ-কল্যাণদের মতো প্রবীন মুখ রয়েছেন, তেমনই রয়েছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য, সায়নী ঘোষদের মতো তরতাজা তরুণরাও।