সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সর্বধর্ম সমন্বয় ও বহুত্ববাদের পীঠস্থান বাংলা। সেখানে বাংলা বিদ্বেষী আচরণের পাশাপাশি লাগাতার হিংসা ও ঘৃণার বীজ বপন করে চলেছে বিজেপি (BJP)। শুধু তাই নয়, লাগাতার বাংলাকে বঞ্চনা ও কেন্দ্রীয় এজেন্সির প্রয়োগে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত হানছে কেন্দ্রের শাসকদল! দুর্নীতির বিরুদ্ধে বঞ্চনাকেই হাতিয়ার করে লোকসভায় নামতে চলেছে তৃণমূল। রবিবার ব্রিগেডের জনগর্জন সভা থেকে রণহুঙ্কার তৃণমূলের (Trinamool Congress)। পাশাপাশি ব্রিগেড মঞ্চে (Brigade) তুলে ধরা হচ্ছে, গেরুয়া শিবিরের জমিদারী রাজনীতির বিরুদ্ধে একমাত্র বিকল্প তৃণমূলই।
রবিবার ব্রিগেডের সভার আগে প্রকাশ্যে আসে তৃণমূলের ?কনসেপ্ট নোট?। যেখানে তুলে ধরা হয়, কেন বিজেপিকে বাংলা থেকে বিসর্জন দেওয়া প্রয়োজন? যার শুরুতেই বিজেপির ?বাংলা বিদ্বেষী? মনোভাবের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে ঘাসফুল শিবির। তুলে ধরা হয়েছে, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার সময় থেকে দিল্লির নেতারা বাংলায় এসে আবাস কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্য পরিষেবা, পরিকাঠামোর মতো ক্ষেত্রে বহু প্রতিশ্রুতি দেয় যা বাস্তবায়িত হয়নি। বাংলার মনীষী ও সংস্কৃতির প্রতি বিজেপি অবজ্ঞার তুলে ধরা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। যেখানে, স্বামী বিবেকানন্দ, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তিভাঙা, রবীন্দ্রনাথের ইতিহাস বিকৃতি ও মা সারদাকে অপমানের মতো বিষয়গুলিকে তুলে ধরা হয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, বাংলার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার লাগাতার চেষ্টা করে গিয়েছে ?পরিযায়ী? বিজেপি।
তৃণমূলের তরফে তুলে ধরা হয়েছে বিজেপির লাগাতার বাংলা বঞ্চনাকে। অভিযোগ করা হয়েছে, বাংলার মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের মৌলিক অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে বিজেপি। যেখানে, কর বাবদ বাংলার প্রাপ্য ১.৬০ লক্ষ কোটি টাকা অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হয়েছে। ২ বছর ধরে আটকে রাখা হয়েছে মানুষের প্রাপ্য ১০০ দিনের কাজের টাকা, আবাস যোজনার টাকা। শুধু তাই নয়, বিজেপির জমিদারী মানসিকতা দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত হানছে বলেও অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার করে অবিজেপি নেতা নেত্রীদের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে ইডি, সিবিআই, আয়কর দফতরের মতো সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। ৩ বছরে ৩৩৪ টি কেন্দ্রীয় দল বাংলা ঘুরে গেলেও বাংলার প্রাপ্য টাকা আজও ছাড়া হয়নি। বিজেপির এহেন জমিদারী মানসিকতার বিরুদ্ধেই রবিবার ব্রিগেড মঞ্চ থেকে সরব হতে চলেছে তৃণমূল।
তৃণমূলের দাবি, একদিকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার যখন লাগাতার বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করে চলেছে। অন্যদিকে, প্রাপ্য অর্থ থেকে ‘বঞ্চিত’ হয়ে রাজ্যের খরচেই জনমুখী প্রকল্পগুলিকে চালাতে উদ্যোগী হয়েছে তৃণমূল সরকার। প্রাপ্য ১০০ দিনের বকেয়া টাকা রাজ্য সরকারই মিটিয়ে দেবে বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের খরচেই শুরু হয়েছে কর্মসংস্থানের নয়া প্রকল্প। পাশাপাশি রাজ্যের নিজস্ব জনমুখী প্রকল্প কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-সহ একাধিক কাজকে হাতিয়ার করে মানুষের মন জয়ের পাশাপাশি ভোট যুদ্ধে কোমর বেঁধে নামছে তৃণমূল।