কৌশিক রায়: "ভোটের আগে বাংলায় এসে বলছে মোদি গ্যারান্টি। মোদির গ্যারান্টি মানে জিরো ওয়ারেন্টি। বাংলা লিখতে পারে না, বলতে পারে না, কিসের গ্যারান্টি?" ব্রিগেডে জনগর্জন সভা থেকে সাধারণ মানুষের কাছে এই প্রশ্নই তুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি। লোকসভা ভোটের আগে বাংলায় প্রচারে এসে একাধিকবার মোদি গ্যারান্টির কথা শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর মুখে। সেই প্রসঙ্গ তুলেই এদিন মোদিকে একহাত নিলেন অভিষেক। সাধারণ মানুষের কাছে অভিষেকের প্রশ্ন, "মোদি গ্যারান্টি কোথায়? ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন সবার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে পৌঁছে যাবে। একজনও পেয়েছেন টাকা?" মমতা ব্যানার্জির গ্যারান্টি মানে স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, ১০ কোটি মানুষের উন্নয়নের ধারা।" এদিন ব্রিগেডের জনগর্জন সভায় পৌঁছেই অভিষেক সোজা হেঁটে চলে যান ব়্যাম্পে। হাত নাড়েন দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে। হাত মুঠো করে জয় বাংলা স্লোগান তোলেন। নতজানু হয়ে প্রণাম জানান কর্মী সমর্থকদের।বলতে শোনা যায়, "এই ব্রিগেড বঞ্চিতদের ব্রিগেড, বাংলার জনসাধারণের ব্রিগেড, বিজেপি বিসর্জনের ব্রিগেড। এরপর সাধারণ মানুষের কাছেই প্রশ্ন রাখেন দলের "সেকেন্ড ইন কমান্ড"। বলেন, "আপনারাই বলুন, কার গ্যারান্টি বেশি, দিদি না মোদি? আপনাদের কাছেই আমি জবাব চাইলাম। ভোটে জবাব দিন। নরেন্দ্র মোদি, অমুক বাবু, তমুক বাবু, অমিত শাহ, ইডি, সিবিআই সবকিছুর জবাব চাই।" এদিন আরও একবার অভিষেকের বক্তব্যে উঠে এল কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা। বললেন, "প্রধানমন্ত্রী বলেছেন উনি নাকি ৩ বছরে ৪২০০০ কোটি টাকা দিয়েছেন বাংলাকে। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি যদি প্রমাণ করতে পারেন তাহলে রাজনীতি থেকে অবসর নেব।" এদিনের বক্তব্যে অভিষেক বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তরই ছেড়ে দিলেন জনসাধারণের ওপর। লোকসভা নির্বাচনের আগে নয়া কর্মসূচির ঘোষণা করলেন তিনি। জনগণের গর্জন, বাংলা-বিরোধীদের বিসর্জন।