• অধীরের চেয়ে ২৫ গুণ বিত্তশালী ইউসুফ পাঠান, কত টাকার মালিক TMC প্রার্থী?
    আজ তক | ১১ মার্চ ২০২৪
  • মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন  তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) একটি বড় পদক্ষেপে নিয়েছে, প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে লোকসভা নির্বাচনের টিকিট দিয়েছে, যিনি বহরমপুর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীও এই আসন থেকে প্রার্থী হতে পারেন। যদি দুই নেতাই মুখোমুখি হন তাহলে এই লোকসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আকর্ষণীয়।

     প্রসঙ্গত তৃণমূল তাঁকে প্রার্থী করায় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ইউসুফ। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রাক্তন ক্রিকেটার লেখেন, আমি চিরকালের জন্য শ্রীমতী @MamataOfficial এর কৃতজ্ঞ, যিনি আমাকে TMC পরিবারে স্বাগত জানিয়েছেন এবং পার্লামেন্টে জনগণের কণ্ঠস্বর হওয়ার দায়িত্বে আমার প্রতি বিশ্বাস রেখেছেন। জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে, দরিদ্র ও বঞ্চিতদের উন্নতি সাধন আমাদের কর্তব্য, এবং আমি আশা করি সেটা অর্জন করতে পারব।

     

    এদিকে বহরমপুর অধীর চৌধুরীর গড়।  বহরমপুর থেকে টানা পাঁচবারের জয়ী সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী। ১৯৯৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত টানা এ কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন কংগ্রেসের অধীর। অধীরকে হারাতে তৃণমূল এই কেন্দ্রে কখনও প্রার্থী করেছে পরিচিত মুখ ইন্দ্রনীল সেনকে, কখনও অধীরের এক সময়ের অনুগামী হিসাবে পরিচিত অপূর্ব সরকার (ডেভিড)কে। তবে অধীরকে বহরমপুরের মসনদ থেকে সরানো যায়নি। সেই অধীরের সামনে এবার তৃণমূলের চ্যালেঞ্জ ইউসুফ পাঠান। এই ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’কে নিয়ে বহরমপুরের সাংসদের দাবি, সংখ্যালঘু ভোটকে ধরতেই এমন দান দিয়েছে শাসকশিবির। অধীর বলেন, “বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কোনও না কোনও মুসলিম প্রার্থী দাঁড় করিয়ে সংখ্যালঘু ভোটের বিভাজন ঘটাতে চাইছে। লক্ষ্য একটাই অধীর চৌধুরীকে হারাও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইউসুফ পাঠানকে সম্মান দিতে কি জানেন আপনি? যদি চাইতেন তাহলে কেন কিছুদিন আগে যখন রাজ্যসভার ভোট হল ইউসুফ পাঠানকে এ বাংলা থেকে প্রার্থী করে পাঠালেন না?” অধীরের দাবি, ইউসুফ পাঠানকে প্রার্থী করা হয়েছে। অথচ তিনি এলাকাও চেনেন না। অধীর বলেন, “যে এলাকা ইউসুফ চেনেন না, যে এলাকার মানুষের সঙ্গে তাঁর কোনও পরিচয় নেই, যেখানকার ভাষা তিনি জানেন না সেখানে তাঁকে এনে আপনি আপনার ফায়দা লোটার চেষ্টা করছেন।”

    সম্পদের দিক থেকে, ইউসুফ পাঠান কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর থেকে প্রায় ২৫ গুণ বেশি ধনী। কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে তার। তার একটি বিলাসবহুল গাড়ি, একটি বিলাসবহুল বাংলো এবং অন্যান্য দামি জিনিস রয়েছে। এ ছাড়া অধীর রঞ্জনের রয়েছে ২ কোটি টাকার আবাসিক বাড়ি, ৪০ লাখ টাকার বাণিজ্যিক জমি এবং ৬ কোটি টাকার অকৃষি জমি।

    ইউসুফ পাঠান কত সম্পদের মালিক?
    caknowledge.com অনুসারে, প্রাক্তন ভারতীয় তারকা ক্রিকেটারের ৩০ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ২৪৮ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। ইউসুফ পাঠানের সর্বোচ্চ আয় আসে ক্রিকেট থেকে, যার বার্ষিক আয় ২০ কোটি টাকার বেশি। তার ৬ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের একটি বিলাসবহুল ভবন রয়েছে, যেখানে তিনি তার ভাই ইরফান এবং পরিবারের সঙ্গে  থাকেন। দুই ভাই এই বাড়িটি২০০৮ সালে আড়াই কোটি টাকায় কিনেছিলেন।

    পাঠান ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন
    প্রথমবারের মতো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন ৪১ বছর বয়সী ইউসুফ পাঠান। পাঠান ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। পাঠান ভারতীয় দলের সেই অংশ ছিলেন যারা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (২০০৭) এবং ২০১১ সালে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ জিতেছিল। ইউসুফ পাঠান ভারতের হয়ে ৫৭টি ওডিআই ম্যাচে ২৭ গড় রেখে  ৮১০ রান করেছেন। ২২ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তিনি ২৩৬ রান করেছেন। এছাড়া ওয়ানডেতে ২টি সেঞ্চুরি ও ৩টি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। ওয়ানডেতেও ইউসুফ পাঠানের নামে ৩৩ উইকেট এবং টি-টোয়েন্টিতে ১৩ উইকেট রয়েছে। এছাড়াও, তিনি ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলেরও অংশ ছিলেন।

    এত কোটি টাকার মালিক অধীর রঞ্জন চৌধুরী
    myneta মতে, প্রবীণ কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর মোট সম্পত্তির মূল্য ১০,১৩,১৫,৪৩৭ টাকা, যেখানে তার ৮৫ লাখ টাকারও বেশি ঋণ রয়েছে। ব্যাঙ্কগুলিতে ১৭ লক্ষ টাকার বেশি আমানত রয়েছে। এলআইসি-তে ১০ লক্ষ টাকার বিনিয়োগও রয়েছে। এ ছাড়া চৌধুরীর কাছে ২৩ লাখ টাকার একটি গাড়ি এবং ১৬ লাখ টাকার গয়না।
  • Link to this news (আজ তক)