'মমতা প্রমাণ করলেন, তাঁকে কারও বিশ্বাস করা উচিত নয়', পাঠানে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অধীর'
২৪ ঘন্টা | ১১ মার্চ ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বাংলায় জোট রাজনীতি এখন হিমঘরে। রাজ্যে ৪২ আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। তার মধ্যে বড় খবর হল বহরমপুর আসনে প্রার্থী করা হয়েছে ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে। অর্থাত্ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রার্থী ইউসুফ। কারণ বরাবরই ওই কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন অধীর চৌধুরী। এখন বহরমপুরের মতো আসনে ভোটদাতাদের মধ্যে সংখ্যালঘু আবেগ কাজ করলে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে যাবেন অধীর।
অনেকেই হয়তো ভেবেছিলেন বহরমপুরের মতো আসনে কোনও দুর্বল প্রার্থী দিয়ে অধীরের জন্য আসনটি ছেড়ে দেবে তৃণমূল। কিন্তু ভোটের প্রার্থী তালিকা যেদিকে ইঙ্গিত করছে তা হল অধীরের বিরুদ্ধে অল আউট লড়াইয়ে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এনিয়ে অধীর চৌধুরী সংবাদমাধ্যমে বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস যদি ইউসুফ পাঠানকে সম্মান দিতে চাইতো তাহলে তাকে রাজ্যসভায় পাঠাতে পারত। বাংলার বাইরের মানুষদের রাজ্য়সভায় পাঠিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় যদি চাইতেন তাহলে ইন্ডিয়া ব্লকে বলতে পারতেন গুজরাট থেকেই ইউসুফ পাঠানকে একটি আসন দিতে। কিন্তু উনি এখানে ইউসুফ পাঠানকে প্রার্থী করেছেন যাতে এখানে মেরুকরণ করে বিজেপিকে সুবিধে পাইয়ে দিতে এবং কংগ্রেসকে হারাতে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমাণ করলেন কোনও দলের উচিত নয় ওঁর মতো রাজনীতিকের উপরে ভরসা করা।বরহমপুরে প্রার্থী হতে পেরে ইউসুফ পাঠান বলেন কলকাতায় বরাবরই ভালোবাসা পেয়েছি। তার বদলে এখানকার মানুষের সেবা করার একটা সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আমি চেষ্টা করব। এখানকার মানুষের অভাব অভিযোগের কথা আমি লোকসভায় তুলে ধরব। বহরমপুরে হয়তো বড় চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। সবসময় সময় একইরকম যায় না।তৃণমূলকে নিশানা করতে গিয়ে অধীর চৌধুরী আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় মনে করেন তিনি যদি ইন্ডিয়া ব্লকে থাকেন তাহলে মোদীজি রেগে যেতে পারেন। তাই নিজেকে এভাবেই ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে একটা বার্তা পাঠালেন মমতা।উল্লেখ্য, এবার তার প্রার্থী তালিকায় বেশকিছু চমক রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যেমন মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহান বা মৌসম বেনজির নুরের মতো প্রার্থীকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। পরিবর্তে আনা হয়েছে সায়নী ঘোষ, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবাংশু ভট্টাচার্য, কীর্তি আজাদের মতো নতুন মুখদের। ফলে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোনও কোনও চেষ্টারই খামতি রাখছে না।