• ঝাড়গ্রামে মমতার মাস্টারস্ট্রোক পদ্মশ্রী কালীপদ সরেন, তিনি কে'
    ২৪ ঘন্টা | ১১ মার্চ ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রবিবার ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে আগামী লোকসভা নির্বাচনের(Lok Sabha Election 2024) প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে তৃণমূল কংগ্রেস(TMC)। সেই তালিকায় অন্যতম চমক পদ্মশ্রী কালীপদ সরেন(Kalipada Soren)। ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হচ্ছেন তিনি। ২০২২ সালে ‘পদ্মশ্রী’ সম্মান পান তিনি। গত মাসেই জঙ্গলমহল সফরের শেষদিনে ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিক সভায় কালীপদ সরেনের হাতে বঙ্গবিভূষণ তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। 

    কে এই কালীপদ সরেন? সাঁওতালি সাহিত্যজগতের ‘নক্ষত্র’ কালীপদ সরেন। তাঁর নাম কালীপদ সরেন হলেও খেরওয়াল সরেন নামেই দীর্ঘদিন ধরে সাহিত্যচর্চা করেন তিনি। ১৯৫৭ সালে অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার ঝাড়গ্রামের মহকুমার রঘুনাথপুরে জন্মান তিনি। বর্তমানে তাঁর বাড়ি ঝাড়গ্রাম শহরের ভরতপুরে। সেখানকার স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। এরপর তিনি ভর্তি হন কাবগাড়ির সেবাভারতী কলেজ, স্নাতক হন ১৯৮১ সালে। তারপর ১৯৮৪ সালে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর পাশ করেন তিনি।স্নাতকোত্তরের সময় থেকেই রিমিল’ নামের একটি সাঁওতালি পত্রিকার সম্পাদনা শুরু করেন তিনি। ২০১৩ সাল অবধি সেই পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। সাহিত্যিক কালীপদ চাকরি করতেন একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে। প্রথমজীবনে তিনি ছিলেন কলকাতায়। কিন্তু কলকাতায় তাঁর মন বসত না, তাই ঝাড়গ্রামে বদলি নিয়ে চলে যান। দীর্ঘ ৩৩ বছর চাকরি জীবনে তিনি কোনও প্রমোশন নেননি শুধুমাত্র সাহিত্য চর্চার জন্য। শুধু পত্রিকা সম্পাদনাই নয়, কলকাতায় থাকাকালীন তিনি কলকাতায় বসবাসকারী সাঁওতাল সম্প্রদায়ের জন্য একটি নাট্যদলও তৈরি করেন। ২০০৭ সালে ‘চেৎরে চিকায়েনা’ নাটকের জন্য সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পান কালীপদ সরেন। ২০১৯ সালে দিব্যেন্দু পালিতের বাংলা উপন্যাস ‘অনুভব’ সাঁওতালি ভাষায় অনুবাদ করে আবারও সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পান তিনি। এছাড়াও পেয়েছেন সাঁওতালি লেখক সংগঠনের পুরস্কার, রঘুনাথ মুর্মু ফেলোশিপ, অনগ্রসর কল্যাণ বিভাগের পুরস্কারও। ২০২২ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কার পান তিনি। ২০২৪ সালে পান রাজ্য সরকারের পুরস্কার 'বঙ্গবিভূষণ'।  
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)