আজকাল ওয়েবডেস্ক: হাবাসের টাচে বদলে গিয়েছে মোহনবাগান। বছর শেষে হারের হ্যাটট্রিক থেকে লিগ শীর্ষে। স্প্যানিশ কোচের "মিডাস টাচ" এ ডার্বি জয়। তিন দফায় কলকাতায় কোচিং করিয়েছেন বাগানের বর্ষীয়ান কোচ। ডার্বিতে এখনও অপরাজিত। ডার্বি এবং হাবাস কি সমার্থক শব্দ? এই প্রশ্নই এক মুহূর্তের জন্য ফিরিয়ে দিল সেই পুরোনো হাবাসকে। স্পষ্ট উত্তর, "হ্যাঁ, আমারও তাই মনে হচ্ছে। আমি আর ডার্বি সমার্থক।" প্রথমার্ধে তিন গোল। যা প্রত্যেক মোহনবাগান সমর্থককে পাঁচ গোলের স্বপ্ন দেখায়। কিন্তু বিরতির পর সম্পূর্ণ বদলে গেল চিত্রনাট্য। গোল তো এলই না, বরণ এক গোল হজম করে বাগান। গোলের নীচে বিশাল কাইত না থাকলে ব্যবধান আরও কমতে পারত। কিন্তু তিন গোলে এগিয়ে থেকেও কেন দ্বিতীয়ার্ধে হঠাৎ গুটিয়ে গেল বাগান ফুটবলাররা? এর যথার্থ উত্তর নেই স্প্যানিশ কোচের কাছে। হাবাস বলেন, "আমরা ৩-০ গোলে জিতছিলাম। দ্বিতীয়ার্ধে আত্মতুষ্টি চলে আসে। আমাদের একই ভাবে প্রেস করা উচিত ছিল। আমরা রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলতে চাইনি। কিন্তু দল রক্ষণের মোড়কে ঢুকে যায়। প্রথমার্ধ দেখে মনে হয়েছিল আমরা আরও গোল করতে পারি। কিন্তু প্রথম ৪৫ মিনিটের পর পরিস্থিতি বদলে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে ওরা ভাল খেলেছে। আমরা পুরোপুরি রক্ষণাত্মক খোলসে ঢুকে পড়েছিলাম। জানি না কী হল হঠাৎ। কেন হঠাৎ দল পাল্টে গেল বুঝিনি। এরকম আমরা চাইনি। এই জায়গায় উন্নতি করতে হবে। বিরতিতে ড্রেসিংরুমে হাই-প্রেসিং ফুটবল খেলতেই বলেছিলাম।" ইস্টবেঙ্গলের পেনাল্টি নিয়ে বিশেষ মন্তব্য করতে চাননি। হাবাস বলেন, "জানি না ইস্টবেঙ্গলের পেনাল্টি ছিল না। বিশাল কাইত ভাল গোলকিপার। পেনাল্টি বাঁচানোর পর আমরা ম্যাচে ফিরি। দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের আত্মতুষ্টির জন্য ইস্টবেঙ্গল প্রেস করার সুযোগ পায়।" ডার্বি জিতে লিগের মগডালে বাগান। কিন্তু ইতিমধ্যেই পরের ম্যাচের ভাবনা ঢুকে পড়েছে হাবাসের মনে। বুধবার কোচিতে কেরলের বিরুদ্ধে ম্যাচ। জয়ের ছন্দ ধরে রাখতে চান স্প্যানিয়ার্ড। হাবাস বলেন, "আমরা একনম্বরে। দল ভাল খেলছে। চোট নেই। এবার আমাদের কেরল, মুম্বই ম্যাচের কথা ভাবতে হবে। রিকভারির সময় নেই। তিন দিনের মাথায় ম্যাচ। আমরা ধাপে ধাপে এগোতে চাই। এখনই ফাইনাল নিয়ে ভাবতে চাই না।"