নির্বাচনের পুরো দ্বায়িত্ব প্রায় একাই কাঁধে নিয়ে এগোচ্ছেন অনীত। কিছুই যেন ফ্যাক্টর নয় তার কাছে। একদা বিমলের ছায়া সঙ্গী অনীত বর্তমানের সুকৌশলি রাজনীতিবিদ।দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের প্রর্থী ঘোষণা হওয়ার পরই সাজিয়ে ফেলেছেন রণকৌশল। চিরাচরিত নির্বাচনী প্রচারে আস্থা রাখছে না ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা। এবারের প্রচার হবে চড়াই-উতরায়ের গ্রামে গঞ্জে।আগামীকাল কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি পৌঁছবেন দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী গোপাল লামা। তৃণমূল কংগ্রেসের পাশাপাশি ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার পক্ষ থেকেও একাধিক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। সমতল থেকে পাহাড়ে বিভিন্ন জায়গায় সম্বর্ধনা ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচার শুরু হবে।এবারের লোকসভা নির্বচন নিয়ে কতটা আশাবাদী অনীতরা? বা কিভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে প্রচার কর্মসূচি? এই বিষয়ে ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সুপ্রিমো অনীত থাপা বলেন, ‘গতবারের থেকে এবারের আবহাওয়া আলাদা। গোপাল লামা পাহাড়ের পরিচিত মুখ। সব থেকে মজার বিষয় পাহাড়ের লড়াইটা এবার বিজিপিএম বনাম বিজেপি ও সমস্ত আঞ্চলিক দল। এই পন্থা অবলম্বন করেই তারা পঞ্চায়েত নির্বাচন জিততে চেয়েছিল, কিন্তু লাভ হয়নি। বিজেপিকে সাধারণ মানুষ বুঝে গিয়েছে। আগেও গোর্খাদের জন্য কিছু করেনি এবারও গোর্খাদের প্রতি সংবেদনশীল বলে চলে গিয়েছে৷ বিজেপি গোর্খাদের কিছুই দেবে না’।গতবারও লোকসভা নির্বচনে তৃণমূলের পক্ষ থেকে ভূমিপুত্রই লড়াই করেছিল। এবারও ভূমিপুত্র, জয় নিয়ে কতটা আশাবাদী এই প্রশ্নে অনীতের উত্তর, ‘এবার আমরাই জিতব। গতবার পরিবেশ পরিস্থিতি আলাদা ছিল, এবার আলাদা। পঞ্চায়েত নির্বাচনেও বিজেপি ও আঞ্চলিক দলের সঙ্গে আমাদের লড়াই ছিল। জিতেছি। এবারও তাই হবে। আমাদের প্রচারের প্রধান লক্ষ পাহাড়ের বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে প্রচার। পকেট রুটে প্রচার। বড় বড় সম্বর্ধনা বা বড় নির্বাচনী প্রচারের বদলে গ্রামে গ্রামে মানুষের কাছে পৌঁছান। গ্রাম থেকে আমরা হবু সাংসদকে জেতাব’।