• স্কুলের বেঞ্চ তৈরি করতে কাটা পড়ল গাছ! বিতর্কে প্রধান শিক্ষক-ই
    ২৪ ঘন্টা | ১১ মার্চ ২০২৪
  • মনোজ মণ্ডল: সরকারি অনুমতি ছাড়াই একের পর এক গাছ কাটার অভিযোগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা ব্লকের রানাঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের মনোহরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজ্য সড়কের পাশে থাকা ৬টি গাছকে রবিবার কাটা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বাগদা থানার পুলিস। বন্ধ করা হয় গাছ কাটার কাজ। কিন্তু ততক্ষণে কাটা হয়ে গিয়েছে ৬টি গাছ। এমনকি গাছ কেটে তা অন্যত্র পাঠানোও হয়ে গিয়েছে।স্কুলের উন্নয়নের জন্য ভিলেজ এডুকেশন কমিটিতে রেজ্যুলেশন করে গাছ কাটা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন প্রধান শিক্ষক। কিন্তু বন দফতর, পিডব্লিউডি ও বিডিও অফিস থেকে এর জন্য যে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি তা নিজেই জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। বন দফতরের অনুমতি ছাড়া যে গাছ কাটা যাবে না, সেটা তিনি জানেন না বলেই দাবি করেছেন প্রধান শিক্ষক। এই বিষয়ে প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, স্কুলের জন্য কয়েকটি বেঞ্চের খুব প্রয়োজন ছিল। সেই কারণে ভিলেজ এডুকেশন কমিটিতে রেজ্যুলেশন করে গাছ কাটা হয়েছে। সরকারি অনুমতি ছাড়া কেন গাছ কেটেছেন? তার উত্তরে প্রধান শিক্ষক জানান স্কুল গাছ লাগিয়েছে। সেই গাছ কাটতে সরকারি অনুমতি নিতে হবে, তা তিনি জানেন না। 

    অন্যদিকে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য জানিয়েছেন স্কুল গাছ লাগিয়েছে। সেই কারণে স্কুলের স্বার্থে যেখানে গাছ কাটা হচ্ছে, তাতে আবার অনুমতি নিতে হয় বলে জানা নেই। যদিও রংঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আফসানা মন্ডল জানিয়েছেন, স্থানীয় সাধারণ মানুষ আমাকে ফোনে এই অভিযোগ জানিয়েছেন। প্রধান শিক্ষক বন দফতর বা কোনও সরকারি দফতর থেকে অনুমতি না নিয়েই এই গাছ কেটে ভুল করেছেন। আমি বিডিও সাহেব ও বন দফতরকে জানিয়েছি। ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে, সেটাই হবে।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)