রাজীব চক্রবর্তী: সন্দেশখালি মামলায় শীর্ষ আদালতে খারিজ রাজ্যের আর্জি। বহাল রইল সিবিআই তদন্ত। হাইকোর্টের নির্দেশে কোনও হস্তক্ষেপ করতে চাইল না সুপ্রিম কোর্ট। সন্দেশখালিকাণ্ডে হাইকোর্টের সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য। বিচারপতি বিআর গাভৈয়ের বেঞ্চ উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর এদিন রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দেয়। তবে, রাজ্যের আর্জি অনুযায়ী রাজ্য পুলিস সম্পর্কে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণের অংশটুকু এক্সপাঞ্জ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এদিন সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের হয়ে মনু সিংভি সওয়াল করেন, ইডি যাওয়ার আগে রাজ্যকে জানায়নি। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে গিয়েছিল। তারপর কিছু ঘটনা ঘটেছে। রাজ্য পুলিস স্বতঃপ্রণোদিত দুটি মামলা করেছে। হাইকোর্ট তদন্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। তাই শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হয়নি। তারপরেও শেখ শাহজাহানকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না বলে মিডিয়ার চাপ বাড়তে থাকে। রাজ্য পুলিসের ব্যর্থতা বলে অভিযোগ করা হয়। এরপর হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ তুলে নিতেই সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়। রাজ্যের তরফে আরও জানানো হয় যে মোট ৪২টি এফআইআর হয়েছে। শাহজাহান সহ ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজ্য সরকারই আদালতে গিয়ে ক্ল্যারিফিকেশন চায়। তারপর স্থগিতাদেশ উঠে যায়। তারপরই গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে রাজ্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনছে সিবিআই।ওদিকে সিবিআই-এর তরফে এসভি রাজু আদালতে বলেন, রেশন দুর্নীতির তদন্তে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল ইডি। তারপর মারাত্মক ঘটনা ঘটে। শাহজাহানের বিরুদ্ধে ৪২টি মামলা সত্ত্বেও গ্রেফতার করা হয়নি। ওখানকার প্রভাবশালী নেতা শাহজাহান। স্থানীয় পুলিসের মদত ছাড়া শাহজাহানের লুকিয়ে থাকা অসম্ভব। এখন আদালতের নির্দেশের পরে সিবিআই তদন্ত শুরু করলেও গুরুত্বপূর্ণ নথি দেওয়া হচ্ছে না। যদিও রাজ্যের হয়ে অভিষেক মনু সিংভি দাবি করেন, অভিযোগ ভিত্তিহীন। প্রসঙ্গত, সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। একইসঙ্গে শেখ শাহজাহানকে সিবিআই হস্তান্তরেরও নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। দ্রুত শুনানির আর্জি জানায়।কিন্তু, রাজ্যের দ্রুত শুনানি আর্জি ফিরিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ওদিকে শেখ শাহজাহানকে সিবিআই-এর হাতে হস্তান্তরের নির্দেশ বহাল রাখে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চও। তারপরই দীর্ঘ টালবাহানার পর শেখ শাহজাহানকে সিবিআইকে হস্তান্তর করে সিআইডি। বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে আছেন শেখ শাহজাহান।