বিধান সরকার: হুগলি লোকসভায় তৃণমূলের প্রার্থী করা হয়েছে জনপ্রিয় অভিনেত্রী তথা টিভি রিয়্যালিটি শো দিদি নম্বর ১- এর সঞ্চালক রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তারপরেই রচনার নামে প্রচার লেখা শুরু করে দিয়েছেন কর্মীরা। যদিও গতবারের জয়ী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের উপরেই ভরসা রেখেছে বিজেপি। তাই এবারে এই হুগলি লোকসভা কেন্দ্র নজরকারা। একসঙ্গে একসময় সিনেমায় অভিনয় করেছেন দুই অভিনেত্রী। এবার রাজনীতির ময়দানে লড়তে চলেছেন একে অপরের বিরুদ্ধে।
রচনা রাজনীতিতে নতুন হলেও লকেট চট্টোপাধ্যায় দীর্ঘদিন ধরেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তাই রাজনীতির ময়দানে তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'রাজনীতি আর সিনেমা দুটো আলাদা বিষয়। এটা কোনও দিদি নম্বর ওয়ানের লড়াই নয়। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই। তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন নরেন্দ্র মোদাী। এটা আমার বা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াই নয়। আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি, এখন আমাদের লড়াইয়ের ময়দানে সামনে রাখা হয়েছে।'বিজেপির সাংসদ আরও বলেন, 'আমি মোদীজীর সৈনিক হিসেবে রয়েছি। যেভাবে রাজ্যের শাসক দল দুর্নীতি করেছে সন্দেশখালির মতো তাতে কোনওভাবেই ধামা চাপা দেওয়া যাবে না। তাই আসল দিদি নম্বর ওয়ান হচ্ছেন সন্দেশখালীর মহিলারা। যাঁরা রিয়েল লড়াই করেছে কোনও টিভি ক্যামেরা ছাড়া। তাঁরা দিনের পর দিন না খেয়ে লড়াই করে গেছেন। সেখানে কোনও অভিনয় ছিল না। সেটাই হচ্ছে আসল দিদি নম্বর ওয়ান। আর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলা হয়ে মহিলাদের সুরক্ষা দিতে পারেননি। গণতন্ত্রে যে কেউ লড়াই করতে পারে। তবে শেষ বিচার করবে মানুষ।' হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, 'লকেট চট্টোপাধ্যায় অদৃশ্য এমপি ছিলেন। তাঁকে কোনও সময় পাওয়া যেত না। হুগলি লোকসভার মানুষ একজন সক্রিয় এমপি চায়, যিনি কাজ করবেন, মানুষকে নিয়ে এগিয়ে যাবেন। অদৃশ্য এমপি অশান্তি লাগানোর জন্য আছেন। পাড়ার একটা ছোট পুজোকে নিয়ে গন্ডগোল সেখানে রাস্তা অবরোধ করছেন। পথ অবরোধ করা, জিটি রোডকে আটকে দেওয়া, মানুষের গতিকে কমিয়ে দেওয়া, এই নেগেটিভ মনোভাব যার মধ্যে তাকে হুগলির মানুষ বর্জন করবে।'