অর্নবাংশু নিয়োগী: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষ এবং নীলাদ্রি সাহার জামিনের আবেদন এখনই মঞ্জুর করল না কলকাতা হাই কোর্ট। ওই দু'জনের আবেদনের প্রেক্ষিতে সিবিআইয়ের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে আদালত।সোমবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, আগামী তিন সপ্তাহ পরে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
সিবিআইকে ওই দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট আদালতে জমা করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে।নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচার প্রক্রিয়া (ট্রায়াল) শুরু না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি বাগচী। তাঁর মন্তব্য, ‘ট্রায়াল শুরু করে অভিযুক্তদের সাজা না দিলে পুরো বিষয়টি হাস্যকর হয়ে যাবে। মানুষের মন থেকে ওই দুর্নীতি আবছা হয়ে যাবে। এই পুরো প্রতিষ্ঠানের প্রচেষ্টা কোনও কাজে লাগবে না’।সিবিআইয়ের উদ্দেশে বিচারপতি বাগচী বলেন, ‘কেন আপনারা দ্রুত ট্রায়াল শুরু করছেন না। সাজা ঘোষণা না হলে একটি দুর্নীতিকে প্রশয় দেওয়া হবে। জাপান, সিঙ্গাপুর অনেক উন্নত দেশ। তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে দ্রুত সাজা ঘোষণা করে। এই ক্ষেত্রে দুর্নীতি প্রতিষ্ঠিত হলে কেন ট্রায়াল শুরু করাই যাচ্ছে না?’সিবিআইয়ের আইনজীবী অমাজিৎ দে জানান, ‘চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। অতিরিক্ত চার্জশিটও দেওয়া হয়েছে। তদন্তের সামান্য কিছু অংশ বাকি রয়েছে। সেটি দ্রুত সম্পূর্ন করা হবে’।জামিন চেয়ে আদালতে কুন্তলের আইনজীবীর সওয়াল, ‘আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ছয় জনের চাকরির বিনিময়ে চার কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু তাঁর কাছ থেকে কোনও টাকা উদ্ধার হয়নি’।অন্য দিকে, নীলাদ্রির আইনজীবী জানান, ‘তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে দুই লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ ছিল। সেই টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে’।বিচারপতি বাগচীর পর্যবেক্ষণ, কত টাকা কে নিয়েছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। অপরাধ হয়েছে কি না আদালত তা দেখতে চায়। আর্থিক অপরাধের তদন্ত করছে ইডি। টাকার বিষয়টি তারাই জানাবে।