• ‌চাপড়ামারিতে দাবানল
    আজকাল | ১২ মার্চ ২০২৪
  • অতীশ সেন, ডুয়ার্স: আবারও বনের মধ্যে লাগল আগুন। শুকনো পাতায় লাগা আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ল। লেলিহান শিখায় জ্বলে উঠল বড় বড় গাছের কান্ড, জঙ্গলে জমে থাকা শুকনো পাতা। বনকর্মী ও দমকলের চেষ্টায় বিকেলের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও বনভূমির বেশ খানিকটা অংশ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটে সোমবার ১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া নাগরাকাটা ব্লকের চাপড়ামারির বনাঞ্চলে। জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুর নাগাদ বনকর্মীদের নজরে আসে ১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের দু’‌দিকে বনের ভিতরে আগুন জ্বলছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন চালসা রেঞ্জের রেঞ্জার প্রকাশ থাপা সহ বনকর্মীরা। ততক্ষণে আগুন অনেকটা ছড়িয়ে পড়ে। মালবাজার থেকে বনকর্মীদেরও ডাকা হয়, তারাও আগুন নেভাতে তৎপর হয়ে ওঠেন। খবর দেওয়া হয় মালবাজার দমকল কেন্দ্রে। সেখান থেকে ছুটে আসে দমকলের একটি ইঞ্জিন। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। যদিও ততক্ষণে জঙ্গলের অনেকটা অংশ আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায়। প্রতি বছর এই সময় শুখার মরসুমে ডুয়ার্সের বনাঞ্চলে আগুন লাগতে দেখা যায়। কয়েকদিন আগে চালসার কাছে খড়িয়ার বন্দর বনাঞ্চলের ভেতরেও আগুন লেগেছিল। সেদিনও দমকল এসে আগুন নেভায়। চালসা নেচার স্টাডি অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার সোসাইটির সম্পাদক তথা পরিবেশপ্রেমী মানবেন্দ্র দে সরকার জানান, জঙ্গলে স্বাভাবিক ভাবে দাবানল লাগে, যদিও ডুয়ার্সের জঙ্গলে তেমন সম্ভাবনা খুব কম। এখানকার বনাঞ্চলে অনেকেই গরু চড়াতে যায়। তাদের অসর্তকতায় ফেলে দেওয়া বিড়ি বা না নেভানো দেশলাই থেকে জঙ্গলে আগুন লাগে। অনেক সময় তাজা ঘাসের জন্য ইচ্ছাকৃতভাবেও পশুপালকেরা জঙ্গলে আগুন লাগায়। তবে এভাবে আগুন লাগলে বনাঞ্চলে থাকা জন্তু জানোয়ার, পাখি ও কীটপতঙ্গ সহ অনুজীবী প্রাণীদের ক্ষতি হয়। জমির উর্বরতা নষ্ট হয়।
  • Link to this news (আজকাল)