ড্রেসিংরুমে হল মন্দির, নারকেল ফাটিয়েই সূচনা, চর্চায় ধার্মিক অধিনায়কের ভিডিয়ো
২৪ ঘন্টা | ১২ মার্চ ২০২৪
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গতবছর ডিসেম্বরেই নীল সাম্রাজ্যে রোহিত (শর্মা) (Rohit Sharma) যুগের অবসান ঘটেছে! মুম্বইয়ের (ইন্ডিয়ান্স) মসনদে বসেছেন হার্দিক পাণ্ডিয়া (Hardik Pandya)। রিকি পন্টিং থেকে রোহিতের হাতে উঠেছিল অধিনায়কত্বের ব্যাটন। রোহিতের নেতৃত্বে মুম্বই পাঁচবার আইপিএল সেরা হয়। এমএস ধোনির সঙ্গে (MS Dhoni) যুগ্মভাবে রোহিত ক্রোড়পতি লিগের সফলতম অধিনায়ক। নেতা হিসেবে রোহিতের সঙ্গে মুম্বইয়ের ১০ বছরের সম্পর্ক শেষ হয়েছে। এবার হার্দিক যুগের সূচনা। আগামী ২৪ মার্চ মুম্বইয়ের আইপিএল অভিযান শুরু হচ্ছে গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে। হার্দিক দলের সঙ্গে যোগ দিয়ে শুরু করে দিয়েছেন অনুশীলন। এদিন হার্দিকের আচরণ হৃদয় জয় করে নিল। সাজঘরের এক কোণে তিনি অস্থায়ী মন্দির নির্মাণ করলেন। আরাধ্য় দেবতাকে অর্পণ করলেন বাক্স ভর্তি লাড্ডু। হার্দিককে সঙ্গ দিলেন মুম্বইয়ের হেড কোচ মার্ক বাউচার (Mark Boucher)। তিনি নারকেল ফাটিয়ে সূচনা করলেন নতুন অধ্য়ায়ের। হিন্দু ধর্মে কোনও কিছু শুরুর আগে, পুজো দিয়ে নারকেল ফাটানোকে অত্য়ন্ত শুভ রীতি হিসেবেই দেখা হয়। গণপতি বাপ্পার শহরও তার ব্য়তিক্রম নয়। হার্দিকের এই আচরণ হৃদয় জয় করে নিয়েছে সোশ্য়াল মিডিয়ার। মুম্বই তাদের এক্স হ্য়ান্ডেলে এই ভিডিয়ো শেয়ার করেছে। অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই হার্দিক তাঁর কাজ শুরু করে দিলেন। তবে যা ক্রিকেটীয় নয়, একেবারেই ধর্মীয়।আইপিএল নিলামে হার্দিক মুম্বইতে আসতেই লেখা হয় আইপিএল ইতিহাস। এই প্রথম কোনও আইপিএল জয়ী অধিনায়ক দলবদল করলেন। ২০২২ সালে গুজরাতের আইপিএল অভিষেক হয়। আর শুরুতেই হার্দিকের টিম চ্যাম্পিয়ন হয়। ২০২৩ সালে হার্দিকের দল রানার্স হয়েছিল। রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে গুজরাতকে হারতে হয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে। হার্দিক গুজরাতের হয়ে ৩০ ইনিংস খেলে ৮৩৩ রান করেছেন। তাঁর গড় ৪১.৬৫। স্ট্রাইক রেট ১৩৩.৪৯। ৮.১-এর ইকোনমি রেটে নিয়েছেন ১১ উইকেটও। অতীতে দুই অধিনায়ক দলবদল করেছেন। তাঁরা আর অশ্বিন ও অজিঙ্কা রাহানে। পঞ্জাব কিংস ও রাজস্থান রয়্যালসের মধ্য়ে এই বদলাবদলি হয়েছে। ২০১৫ থেকে ২০২১ পর্যন্ত হার্দিক খেলেছেন মুম্বইয়ের হয়ে। নীল জার্সিতে চারবার (২০১৫, ২০১৭, ২০১৯ ও ২০২০) জিতেছেন খেতাব। নীতার ফ্র্যাঞ্চাইজি হার্দিককে ছাড়তে বাধ্য় হয়েছিল, নাহলে তারা বেশ কিছু প্লেয়ারকে ধরে রাখতে পারত না। হার্দিককে সবার আগে পুল থেকে তুলে নেয় গুজরাত। সঙ্গে রশিদ খান ও শুভমন গিলকেও নেয় সবরমতী নদীর ধারের ফ্র্যাঞ্চাইজি।