• চারদিকে বেড-ফ্রিজ-আলমারি, স্কুলের অফিসকেই বেডরুম বানিয়ে ফেললেন প্রধান শিক্ষিকা
    ২৪ ঘন্টা | ১২ মার্চ ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: স্কুলের অফিসে ঢুকে পড়েছে বেড, ফ্রিজ, টিভি, আলমারি, স্টোভ-সহ ঘর গৃহস্থলীর সব সরঞ্জাম। স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল ঠিক করেছেন স্কুলের অফিস ঘরেই থাকবেন। প্রিন্সিপ্যালের এমন তুঘলকি কাণ্ডে তোলপাড় এলাকা। সেই ছবি ভাইরাল হল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমনই ঘটনা ঘটেছে বিহারের জামুই জেলায়। খবর পেয়ে ছুটে এলেন জেলাশাসক রাকেশ কুমার। তবে আগাম খবর পেয়ে ঘরের সেইসব জিনিসপত্র সরিয়ে ফেললেন স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল।

    কী বলছেন ওই স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল? শীলা হেমব্রম নামে ওই প্রিন্সিপ্যাল সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, তাঁর বাড়ি তৈরি হচ্ছে। তাই আপাতত তাঁর থাকার জায়গা নেই। তাই স্কুলে আসতে তিনি বাধ্য় হয়েছেন। শীলার দাবি, তিনি স্কুলের কোনও ক্লাসরুম দখল করেননি বরং স্কুলের অফিসে মালপত্র রেখেছেন।স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল ওইসব সাফাই দিলেও চিড়ে ভিজছে না। এনিয়ে এলাকার মানুষজন যথেষ্ঠ ক্ষুব্ধ। জেলাশাসক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়ে গিয়েছেন স্কুলের অফিস হোক বা ক্লাস রুম তা ব্যবহার হবে একমাত্র পঠনপাঠনের কাজেই। এর যেন কোনও ব্যতিক্রম না হয়।ওই জুনিয়র হাইস্কুটিতে রয়েছে ১৫০ পড়ুয়া। ঘরের অভাবের জন্য ক্লাস ফাইভ থেকে ক্লাস এইট পর্যন্ত পঠনপাঠন হচ্ছে মোট ৩টি ঘরে। এনিয়ে বহু তদবির করেছেন তিনি। এমনটাই দাবি প্রিন্সিপ্যাল শীলা হেমব্রমের। অফিস ঘরটিকে ক্লাসরুম হিসেবে ব্য়বহার করা যেত। কিন্তু গত ৪ মাস ধরে সেই ঘরেই প্রিন্সিপ্যালের বেডরুম বা কিচেন। এর সাফাই দিতে গিয়ে শীলা হেমব্রম বলেছেন, আমার বাড়ি তৈরি হয়ে গেলে অফিস ঘের ছেড়ে দিতাম। মানুষের আপত্তির কারণে আমি মালপত্র সরিয়ে নিয়েছি।জেলা স্কুল পরিদর্শক কপিল দেও তিওয়ারি সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, এরকম ঘটনার খবর পেয়েছি। এনিয়ে তদন্তের নির্দেশও দিয়েছি। প্রন্সিপ্যাল যদি দোষী প্রমাণিত হন তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।প্রায় এমনই এক কাণ্ড ঘটেছিল এলাকার বিষ্ণপুরের একটি স্কুলে। সেখানে স্কুলের ক্লাস রুমে রাখা হয়েছিল শ্রমিকদের। এলাকার বিডিও চাপে পড়ে জানিয়েছিলেন এনিয়ে তদন্ত করে দেখবে প্রশাসন। যার সিদ্ধান্ত এমন ঘটনাতার কঠিন শাস্তি হবে।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)