সিএএ আসলে কী, আবেদন করবেন কারা, এনআরসির সঙ্গে এর কী সম্পর্ক'
২৪ ঘন্টা | ১২ মার্চ ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিল পাস হওয়ার প্রায় সাড়ে চার বছরেরও বেশি সময় পর জারি হয়ে গেল সিএএ-র বিজ্ঞপ্তি। ফলে এখন থেকে আইন পরিণত হয়ে গেল সিএএ বা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। বিজেপি আগে থেকেই এই আইন লাগুর কথা বলে আসছিল। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এটি লাগুর টাইমিং নিয়ে। বলা হচ্ছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে যেসব শিখ, হিন্দু, পার্সি, খ্রিষ্টান, জৈন, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষ ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এদেশে এসেছেন তারা এদেশের নাগরিকত্ব পাবেন। এই আইন নিয়ে অনেকের মনে আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছিল। অনেকে আবার এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর উল্লাসও করছেন। কিন্তু এই সিএএ আসলে কী? অনেকের কাছে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়।
সিএএ কী?সিএএ আসলে ভারতের ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের সংশোধিত রূপ। নতুন এই আইনে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মোট ৬ ধর্মের মানুষদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ওই ৬ ধর্মের মানুষরা হলেন হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ, শিখ, পার্সি ও জৈন। এরা যদি ধর্মীয় উত্পীড়নের কারণে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এদেশে এসে থাকেন তাহলে তারা ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন। ওইসব মানুষজনকে ৬ বছরের মধ্য নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। আগের আইনে ছিল নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য কোনও বিদেশি নাগরিককে ১১ বছর এদেশে থাকতে হবে। কিন্তু নতুন আইনে সেই সময়সীমা কমিয়ে করা হয়েছে ৫ বছর। ওই তালিকায় মুসলিমদের রাখা হয়নি। কারণ তারা ওই ৩ দেশে সংখ্যালঘু নন। দেশের অন্যান্য নাগরিকরা এতে প্রভাবিত হবেন না।কীভাবে সিএএর আওতায় মিলবে নাগরিকত্বনাগরিকত্বের আবেদন করার জন্য একটি পোর্টাল তৈরি করেছে কেন্দ্র। অনলাইনে সেই পোর্টালে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে। আবেদনকারীকে বলতে হবে কোন সালে তিনি কোনও বৈধ নথি ছাড়া এদেশে ঢুকেছিলেন। সূত্রের খবর এক্ষেত্রে কোনও নথি দিতে হবে না।সিএএ-র সঙ্গে কী এনআরসির যোগসূত্র রয়েছে?বিজেপি জমানায় সিএএ ও এনআরসি কথা একইসঙ্গে উঠে আসে। অসমে এনআরসির আওতায় পড়ে বিপাকে পড়েছিলেন কমপক্ষে ৪০ লাখ মানুষ। এখন প্রশ্ন সিএএ-র সঙ্গে এনআরসির কোনও সম্পর্ক রয়েছে কিনা? বিশেষজ্ঞদের কথায় আপাত দৃষ্টিতে সিএএ ও এনআরসির সঙ্গে তেমন সম্পর্ক নেই। এনআরসির লক্ষ্য হল বৈধ ভারতীয় নাগরিক খুঁজে বের করা। এখনওপর্যন্ত তা লাগু হয়েছে অসমে। তার পরেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলছেন ২০২৪ সালেই দেশজুড়ে লাগু হবে এনআরসি। তবে এনিয়ে ভিন্ন কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর দাবি একমাত্র অসমের জন্য এনআরসি করা হয়েছে।