বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেই ৮ বছরের মেয়েকে নির্মমভাবে খুন! ভয়ংকর কাণ্ড ঘটালেন অধ্যাপক
২৪ ঘন্টা | ১২ মার্চ ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: হরিয়ানার এক বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে নৃশংস হত্যাকাণ্ড। ৮ বছরের মেয়ের গলা কেটে খুন করলেন অধ্যাপক। এরপর নিজেও গলার নলি কেটে আত্মঘাতী হলেন। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ৩৫ বছরের সন্দীপ গোয়েল হরিয়ানার হিসারে লালা রাজপত রায় ইউনিভার্সিটি অফ ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সের অধ্যাপক ছিলেন। রবিবার বিকেলে স্ত্রীকে বলে যান যে, মেয়েকে নিয়ে স্কুটারে করে ঘুরতে যাচ্ছেন। তারপর রাত পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় বিশ্ববিদ্যালয়ে খোঁজ করতে যান স্ত্রী। ভিতর থেকে বন্ধ ছিল অধ্যাপকের ঘরটি। সেই ঘর খুলতেই অধ্যাপক ও তাঁর মেয়ের রক্তাক্ত দেহ দেখতে পান স্ত্রী। পুলিস সূত্রে আরও জানিয়েছে, ধারালো ব্লেড দিয়ে মেয়ের গলার নলি কেটে খুন করেন সন্দীপ। তারপর নিজেও গলার নলি কেটে আত্মঘাতী হন। সন্দীপের বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকর্মীরা জানিয়েছেন, গত কয়েক মাস ধরেই অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। তারপরই এই ঘটনা। মর্মান্তিক এই ঘটনায় পুলিস তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনার পিছনে স্ত্রীয়ের কী ভূমিকা রয়েছে, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিস।ওদিকে হরিয়ানারই গুরগাঁওয়েতে অসুস্থ ছেলেকে 'পাগল' বলায় তর্কাতর্কির সময় মায়ের উপর চড়াও হয় ছেলে! রেগে গিয়ে মাকে ছুরি দিয়ে কোপায়। তারপর আগুন ধরিয়ে দেয় বাড়িতে। ছেলের ছুরির আঘাতে গুরুতর জখম ৫৯ বছরের ওই প্রৌঢ়াকে স্থানীয় নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, সেখানেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ওই মহিলা। প্রতিবেশীরা জানান, মাঝে মধ্যেই মায়ের উপর রেগে যেতেন ছেলে। এমনকি মাকে শারীরিকভাবে নিগ্রহও করতেন। ঘটনার দিন রানু শাহ নামে ওই মহিলা তাঁর মানসিকভাবে অসুস্থ ছেলেকে 'পাগল' বলেন। আর তারপরই আক্রোশবশত মায়ের উপর চড়াও হয় ২৭ বছরের ছেলে। ছুরি নিয়ে চড়াও হয় ছেলে। নির্মমতার সঙ্গে মাকে কোপায় ছেলে। বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুন দেখতে পেয়ে গুরুগাঁও পুলিসে খবর দেন প্রতিবেশীরপা। খবর পেয়ে আসে দমকল এসে দরজা ভেঙে ফ্ল্যাটের ভিতরে ভিতরে ঢুকে ৫৯ বছরের ওই মহিলাকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করে আনেন। আগুনেও ওই মহিলা গুরুতরভাবে জখম হন।