কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনে মাত্র একজন, নিয়োগের তোড়জোড় শুরু হতেই আদালতে কংগ্রেস
২৪ ঘন্টা | ১২ মার্চ ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার আগেই কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন নিরিবাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল। ফলে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনে রয়ে গেলেন মাত্র ১ কমিশনার। তিনি হলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। এরকম এক পরিস্থিতিতে কমিশনার নিয়োগ করতে উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। এনিয়ে আগামী ১৫ নভেম্বর একটি বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তার আগেই সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন করলেন মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা জয়া ঠাকুর। তার দাবি, সরকারকে নির্বাচন কমিশনের শীর্ষ অফিসারদের নিয়োগে নিরস্ত্র করা হোক।
কংগ্রেসের দাবি, কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের শীর্ষ আধিকারিক নিয়োগ যেন নির্বাচন কমিশনের ২০২৩ সালের নিয়ম অনুযায়ী না হয়। এনিয়ে বিচারপতি অরূপ বারনালওয়ালের রায় অনুযায়ী নিয়োগ করা হোক। কারণ ওই আইনে দেশের প্রধান বিচারপতিতে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের প্যানেল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে একটি মামলাও হয়েছে। সেই মামলা এখনও আদালতে বিচারাধীন।নির্বাচন কমিশনে মুখ্যনির্বাচন কমিশনার রয়েছেন মাত্র একজন। তিনি হলেন রাজীব কুমার। তিনি ছাড়াও আরও ২ কমিশনার ওই পদে থাকার কথা। একজন কমিশনারের পদ আগে থাকেই খালি ছিল। শনিবার পদত্য়াগ করেছেন কমিশনার অরূণ গোয়েল। শোনা যাচ্ছে ১৫ মার্চের মধ্যেই এনিয়ে সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে। তার আগেই এই মামলা।এখন কী হবে? নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য আপাতত একটি কমিটি গঠন করা হবে। এর মাথায় থাকবেন কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী ও দুই কেন্দ্রীয় সচিব। ওই কমিটি বেছে নেবে ৫ জনকে। এরপর ওই ৫ নাম চলে আসবে সিলেকশন কমিটিতে। ওই কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। এছা়াও ওই কিমিটিতে থাকবেন একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতা। এই কমিটি যাদের বেছে নেবে তাদেরই নিয়োগ দেওয়া হবে।পদত্যাগী কমিশনার অরুণ গোয়েল পঞ্জাব ক্য়াডেটের এক আইএএস অফিসার। গত নভেম্বরে তাঁকে আনা হয় নির্বাচন কমিশনে। পাতিয়ালায় বাসিন্দা অরুণ গোয়েল গণিতে এমএসসি করেন কেমব্রিজের চার্চিল কলেজ থেকে। এরপর হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিশেষ ট্রেনিং নেন।