জনতার এজলাসে জাস্টিস! কীভাবে শুরু অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পথ চলা, জেনে নিন...
২৪ ঘন্টা | ১২ মার্চ ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তিনি যুক্তিকে অস্ত্র বানিয়েই এতটা কাল কর্মপথ প্রশস্ত করেছেন। তাঁরই একের পর এক কলমের খোঁচায় তোলপাড় উঠেছে রাজ্য রাজনীতিতে। অবাধ পারাপারের রাজনীতির ভাসমান তটে তিনি জনপরিসরে বলিষ্ঠ ছাপ। একসময়ে দুর্নীতির কালগহ্বরে পা মেলাবেন না বলেই ছেড়েছিলেন সরকারি চাকরি। বর্তমান পরিচয়ে তিনি বিজেপি সদস্য ও পদত্যাগী বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রশংসা, সমালোচনা, বিস্তর জলঘোলা পেরিয়ে একবার ঘুরে আসার যাক তাঁর পথ চলায়...
মিত্র ইনস্টিটিউশন (মেন) শাখায় পড়াশোনা করেছে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পরে হাজরা ল কলেজ থেকে আইন পড়েন এবং তারপরে স্নাতক হন। এরপরেই যোগ দেন চাকরিতে। "এ"-গ্রেড অফিসার হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু। ডব্লিউবিসিএস অফিসার হিসাবে তাঁর চাকরি জীবন শুরু হয় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। কিন্তু বেশিদিন কাজ করতে পারেননি। বাম জামানায় প্রশাসনের দুর্নীতি দেখে চাকরি ছেড়ে দেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তারপর বিনা আপোসে শুরু করেন আইনজীবী হিসাবে কাজ। পরবর্তীতে যদিও এই পেশাই তাঁকে পরিচিতি দেয়। স্কুল সার্ভিস কমিশনের দুর্নীতিতে একের পর এক তাবড় শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীকে হাজতবাস করিয়েছেন। কিন্তু এই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ই পশ্চিমবঙ্গের স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী ছিলেন। পরে ন্যাশনাল ইন্সিওরেন্সের মামলাও লড়েছেন তিনি। ২০২০ সালের ৩০ জুলাই কলকাতা হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি পদে নিযুক্ত হন। তবে প্রচারের আলোয় আসেন শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তরফে মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়দের মতো হেভিওয়েটদের গারদের আড়ালে পাঠিয়ে। বিচারপতি সৌমেন সেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ ছিল হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন বাংলায় শাসক দলের হয়ে কাজ করছেন। এরপরই ৫ র্মাচ বিচারপতি হিসাবে ইস্তফা দেওয়ার পর বিজেপিতে যোগদান করেন। অভিজিৎ পদ্ম পতাকা হাতে নেবেন বলে ঘোষণা করার পর থেকেই তাঁকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। তবে রাজনৈতিক মহলে একাংশের মতে, শহুরে বাঙালি মধ্যবিত্ত নাগরিক সমাজের একটা বড় অংশ যারা শাসক দলের বিরুদ্ধে – সেই জনসমাজ তাঁকে পছন্দ করেছে।