মৌমিতা চক্রবর্তী: আমি ইস্তফা দিইনি। বিষয়টা সত্যি নয়। আমার কিছু বলার থাকলে দলকেই বলব। রবিবারের পর খারাপ লেগেছে। আমি একটা গোল নিয়েই কাজ করছিলাম। রাজনীতির বাইরের মানুষ আমি। চেষ্টা করেছিলাম। একটু শকড হয়েছি। আগে জানা থাকলে নিজেকে সেভবে তৈরি করাতম। অনেকেই তখন বলেছিল কি দরকার আর বাঁকুড়াতে কাজ করার। কিন্তু আমি কাজ করেছি। আমি চেষ্টা করছিলাম। আমি ৩বছর সময় দিয়েছি। এটা তো অপ্রত্যাশিত। আশা তো থাকেই। হল না। অভিমান তো হবেই। রাগ হবেই। হয়তো ভালো কিছু ভাববে।
আমি আগেরবার যখন এসেছিলাম হেরে যাওয়া সিটের। ওখানে কোনও কারণ ছিল না হারার। বাঁকুড়াতে কেন হেরেছিলাম? তার মানে আমাদের কোনও লুপহোলস ছিল। আমি সেই জায়গায় কাজ শুরু করি। আমি সেই রিওয়ার্ডের আশা করেছিলাম। আমি এটাই বলব, ওখানে লুপ হোলস খতিয়ে দেখতে গেলে নিশ্চয় সেই কারণটা দেখতে হবে। যিনি প্রার্থী তালডাংরার বিধায়ক, সভাপতি, প্লাস সাংসদ প্রার্থী। আমিও কাজ করেছি। ৩০% আমি তো ক্লেম করতেই পারি।সায়ন্তিকা আরও বলেন, আমার প্রফেশনাল কাজ ফেলেও বাঁকুড়া গিয়েছি। বাঁকুড়াতে কাজ করতে দেখা যাবে নিশ্চয়ই। মোটিভেশন ল্যাক হবে একটু। দিদি আমাকে সমস্যা সমাধানের জন্য পাঠিয়েছিলেন। তিন বছর আমিও কাজ করেছি। আমি চাইব বাঁকুড়ায় যেন যেতে তৃণমূল। সেখানে হেরে গেলে মনে হবে আমি হেরে গেলাম আবার। গেরুয়া শিবিরের তরফে প্রস্তাব ২০২১-এ এসেছিল। আমি কোনও দিনও সেই প্রস্তাবে সাড়া দিইনি। হতে পারে বিজেপির আইটি সেল থেকে এসব ছড়ানো হয়েছে। মিমি, নুসরত-এর সাথে রাজনীতি নিয়ে কথা হবে না। বাঁকুড়া যাব কিন্তু এখন দু-একদিন কিছুটা রেস্ট নেব।