'রাজনৈতিক চক্রান্ত', নিঃশর্ত নাগরিকত্ব না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক মমতা বালা ঠাকুরের ...
আজকাল | ১২ মার্চ ২০২৪
পল্লবী ঘোষ: লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই কার্যকর হল সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। সোমবার বিকেলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে এ ঘোষণা করতেই, ঠাকুরনগরের মতুয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভাজনের রেখা আরও চওড়া হল। মতুয়াদের একাংশ যেমন উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে, অন্যদিকে আরেক দল রীতিমতো রাগে ফুঁসছে। ক্ষোভের সুর শোনা গেল তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ও মতুয়া ঠাকুরবাড়ির সদস্য মমতা বালা ঠাকুরের কণ্ঠেও। সিএএ কার্যকরের ঘোষণা হতেই আজকাল ডট ইনকে তিনি জানালেন, "এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক চক্রান্ত। পাঁচ বছর আগে বিল পাশ করার পর এখন আইন কার্যকর করল। সদিচ্ছা থাকলে আগেই তা কার্যকর করত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে যে নথি রয়েছে, আমাদের মতুয়াদের কাছেও সেই নথি আছে। আমরা এ দেশের ভূমিপুত্র। তাহলে কেন আমাদের নথি দেখিয়ে প্রমাণ দিতে হবে?" মমতার কথায়, "আজ যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, তাতে নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য কী কী নথি জমা দিতে হবে, তাও স্পষ্ট করে জানানো হয়নি। দিন কয়েক আগেই মতুয়াদের আধার কার্ড বাতিল করা হচ্ছিল। মতুয়াদের মধ্যে যাঁরা নথি জমা দিতে পারবেন না, তাঁদের বে-নাগরিক করে দেওয়ার এটা চক্রান্ত। আমার মতে সিএএ-র মাধ্যমে আসলে ঘুরিয়ে এনআরসি চালু করার চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্র।" মমতার হুঁশিয়ারি, নিঃশর্ত নাগরিকত্ব না হলে বড়সড় আন্দোলন করবে মতুয়া সম্প্রদায়। তাঁর কথায়, "বড়মা বীণাপাণি, কপিল কৃষ্ণ ঠাকুর এবং আমি দীর্ঘদিন এ নিয়ে লড়াই করেছি। আমাদের একটাই দাবি, মতুয়াদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দিতে হবে। কোনও নথি জমা দিয়ে আমরা নাগরিকত্ব নেব না। কেন্দ্র শর্ত চাপালে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে এগোব। দরকার হলে ধর্নায় বসব।"