সদ্য মাতৃহারার হাতে দলের পতাকা, কনভয় থামিয়ে খোঁজ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী!
২৪ ঘন্টা | ১২ মার্চ ২০২৪
দেবব্রত ঘোষ : মানবিক মুখ্যমন্ত্রী। কনভয় থামিয়ে মাতৃহারা তৃণমূল কর্মীর সঙ্গে কথা বলে খবর নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ হাবরা যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে গাড়িতে ডুমুরজলা হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় হাওড়ার ড্রেনেজ ক্যানেল রোডে তাঁকে অভর্থনা জানাতে কয়েকজন তৃণমূল কর্মী দলীয় পতাকা নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। যার মধ্যে ছিলেন পিন্টু মণ্ডল।কিছুদিন আগেই মাতৃবিয়োগ হয়েছে পিন্টু মণ্ডলের। তাঁর পরনে ছিল সাদা কাছা। হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে ঢোকার মুখেই তাঁকে দেখে গাড়ি থামিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জিজ্ঞাসা করেন, কে মারা গিয়েছে? পিন্টু জানান, মা। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান, কত বয়স হয়েছিল? পিন্টু জানান, ৭৫ বছর। মাতৃহারা পিন্টুকে সমবেদনা জানিয়ে তাঁকে সাবধানে থাকতে বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর বেরিয়ে যান। মুখ্যমন্ত্রীর এই মানবিক আচরণে কার্যত অভিভূত পিন্টু ও অন্যান্য তৃণমূল কর্মীরা।
প্রসঙ্গত, এদিন উত্তর ২৪ পরগনার হাবরার সভা থেকে সিএএ নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "ভোটের আগে ছলনা, বঞ্চনা, নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার চক্রান্ত চলছে। যে সিএএ বিজ্ঞপ্তি গতকাল প্রকাশ করা হয়েছে তার আদৌ কোনও বৈধতা রয়েছে কিনা তাতে আমার সন্দেহ রয়েছে। অসমে এনআরসির কথা টেনে এনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ২০১৯ সালে এনআরসির নামে অসমে এনআরসির নামে ১৯ লক্ষ মানুষকে বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ১৩ লাখ হিন্দু। বহু মানুষ আত্মহত্যা করেছিল। এখন যাদের দরখাস্ত করতে বলা হয়েছে।"মমতা দাবি করেন, "তাঁরা যেই দরখাস্ত করবেন, তাঁরা নাগরিক থাকা সত্বেও বেআইনি অনুপ্রবেশকারী হয়ে যাবেন। তাহলে আপনাদের সম্পত্তির কী হবে, চাকরিবাকরির কী হবে? সবটাই বেআইননি ডিক্লেয়ার হয়ে যাবে। এটা হল বিজেপি লুডো খেলার ছক্কা। ওরা ভাবছেন ছক্কা মারলেন। আসলে ওঠা পুট, শূন্য।" যদিও বিজেপি নেতৃত্ব বার বারই দাবি করছেন যে, সিএএ ও এনআরসি আলাদা। এনআরসি-র কোনও প্রশ্ন-ই নেই।