বিধান সরকার: সোমবার সন্ধে থেকেই নিখোঁজ ছিল পোলবার রাজহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা ও ক্লাস সিক্সের পড়ুয়া দেব ঘোষ। আজ দেবের গলাকাটা দেহ মিলল এলাকার একটি পুকুরপাড় থেকে। এনিয়ে এলাকায় এতটাই উত্তেজনা ছড়াল যে ছুটে এল পুলিস ও RAF । কীভাবে এমন খুন তা নিয়ে এখনই কিছু বলতে নারাজ পুলিস।
পোলবার রাজহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের দিল্লী রোডের পাশে মামার বাড়িতে মায়ের সঙ্গে থাকত দেব ঘোষ নামে বছর বারোর ওই বালক। বাড়ির বিপরীতে কলকাতা মুখি দিল্লী রোড। তার পাশে গ্যাস পাইপ লাইনের কাজ করতে আসেন বিহারে কিছু শ্রমিক। সেখানেই অফিস তৈরীর কাজ চলছে। শ্রমিকরা টিন ঘিরে ঘর বানিয়ে বসবাস করছিল। দেব ওই শ্রমিকদের ফাইফরমাস খাটত। জল এনে দিত। গতকাল সন্ধায় তাকে চাউমিন এগরোল আনতে দেয় শ্রমিকরা। তারপর আর তার খোঁজ মেলেনি। আজ সকালে ছেলেটির মৃতদেহ বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি পুকুরে পাড়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিস জানিয়েছে মৃতের গলায় কাটা চিহ্ন আছে।ছেলেটির মা মামনি ঘোষের অভিযোগ, তার ছেলেকে গলা কেটে খুন করা হয়েছে। জল তুলে দেওয়ার জন্য দুশো টাকা পেত ছেলে। আমরা ভেবেছি সেই টাকাই আনতে গেছে। রাতে বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি করি। তার পর এই কাণ্ড। ছেলে ক্লাস সিক্সে পড়ত। এই সেদিন আদি সপ্তগ্রামের হাইস্কুলে ভর্তি করে এলাম। আমার ওই ছেলের সঙ্গে কার কী শত্রুতা থাকতে পারে? যারা এরকম করেছে তাদের ফাঁসি চাই। কেল্ডস্টোরের ছেলেগুলো আমার ছেলেকে নিয়ে যায়। ওখানে মোট ২ দিন গিয়েছিল। গতকাল সন্ধে সাতটার সময়ে চাউমিন আনতে বের হল। আর বাড়ি ফেরেনি। গলা কাটা দেহ উদ্ধার হয়েছে। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় ঝাপা এলাকায়। অভিযুক্ত সন্দেহে শ্রমিকদের ঘর ভাঙচুর করে এলাকার মানুষজন। পোলবা থানার পুলিস র্যাফ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পরে ঘটনাস্থলে আসেন হুগলি গ্রামীণ পুলিসের অতিরিক্ত সুপার কল্যাণ সরকার। দেহ উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামাবাড়া হাসপাতালে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়। ঘটনায় তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সরকার বলেন,সকাল দশটা নাগাদ পুলিস খবর পায়। বালকের মৃতেদহ ভাসতে দেখা যায়। তারপর ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। পরিবারের সন্দেহ এবং অভিযোগের ভিত্তিতে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। নির্দিষ্ট মামলা দায়ের হবে। মৃত্যুর কারণ জানতে পারব।