এনআরসি-র প্রশ্ন নেই, আমরা পজিটিভ কাজ করতে চাই : দিলীপ ঘোষ
২৪ ঘন্টা | ১২ মার্চ ২০২৪
অয়ন ঘোষাল: সিএএ নিয়ে মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ। বললেন, কে স্বাগত জানাল। কে আপত্তি করল। এগুলো আর ফ্যাক্টর নয়। মোদী বলেছিলেন। করে দিলেন। কিছু টেকনিক্যাল কারণে আটকে ছিল। তার মধ্যে অন্যতম করোনা। অনেকে ভড়কানোর চেষ্টা করেছিল। অনেকে হীনমন্যতায় ভুগছিল। নিজভূমে পরবাসী হয়ে ছিল। তাদের প্রতি করা কমিটমেন্ট মোদী পূরণ করেছেন। তাই তাঁকে ধন্যবাদ। এনআরসি-র প্রশ্ন নেই। কেউ তো বলেনি এনআরসি করব। আমরা পজিটিভ কাজ করতে চাই। মমতা সহ বাকি পার্টির নেতারা নগরিকত্বের লোভ দেখিয়ে ভোট টেনেছেন। নিজেরা কিছু করেনি। নাগরিকত্ব গেলে আন্দোলন জোরদার হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সে প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, উনি ভেবেছিলেন ১০০ দিনের টাকা নেওয়ার মতো লাইন দিয়ে নাম রেজিস্ট্রি করতে হবে। উনি আটকাবেন। কিছুই আর ওনার হাতে রইল না। হাতে রইল শুধু পেন্সিল। কাল তাই ওনার সুর নরম ছিল। হেরে যাওয়া একজন ব্যক্তির মত। উনি যাদের খেপিয়ে রাস্তায় নামিয়েছিলেন এবার তাদের কাছে ব্যাখ্যা দিন। কার কি ক্ষতি হল খুলে বলুন। আর তাতেও যদি কিছু করার চেষ্টা করেন, মনে রাখবেন ১০০ কোম্পানি সেন্ট্রাল ফোর্স এখানে রাজ্যে আছে। এখন একবার ভিতরে ঢুকলে ২ থেকে ৩ মাসের আগে আর বেরোতে পারবেন না। একইসঙ্গে দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৪২টা আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছেন। আর আমরা ১৯৫। ওনার যা লিস্ট তাতেই উনি অর্ধেক হেরে বসে আছেন! যেমন পার্টি তেমন তালিকা। তাদের স্টকে যা আছে, তাই-ই বের করেছে। কোনও ভদ্রলোক আর আসছে না। পশ্চিমবঙ্গ কোনও সজ্জন লোক পাচ্ছে না। ছাই ফেলতে ভাঙা কুলো যা পড়েছিল, তাই-ই তুলে এনেছে। যদি ইউসুফ পাঠানকে গুজরাটে প্রার্থী করত তাও বুঝতাম। উনি জানেন ওখানে কি পরিস্থিতি। একসময় বাঙালি ইস্যুতে নাকি বিজেপিকে গালাগাল দিত! পাশাপাশি, অর্জুন সিংকে নিয়ে তাঁর মন্তব্য, "এরকম অনেক নেতাই ত্রিশঙ্কু হয়ে গিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতেও সেটা এখন পরিষ্কার হচ্ছে। মোদীর নেতৃত্বে দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের রাজনীতির জামা গায়ে পরে ঘুরে বেড়ানো বন্ধ হয়ে যাবে। উনি কোথায় যাবেন সেটা এখন আর ওনার হাতে নেই।"