শ্রীকান্ত ঠাকুর: তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পর এই প্রথমবার জেলায় এলেন তৃণমূলের হরিরামপুর বিধানসভার বিধায়ক ও তৃণমূল নেতা বিপ্লব মিত্র। বুধবার সকালে শিয়ালদা-বালুরঘাট ট্রেনে গঙ্গারামপুর স্টেশনে নামেন তিনি। স্টেশনেই তাকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য উপস্থিত ছিলেন অগণিত কর্মী সমর্থক ও জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব। গঙ্গারামপুর স্টেশন থেকে তার বাসভবন পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা শোভাযাত্রা সহকারে নিয়ে যায়।
গঙ্গারামপুরের ভূমিপুত্র এবং গঙ্গারামপুর-সহ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় প্রায় ৫০ বছর ধরে রাজনীতি করছেন বিপ্লব মিত্র। পেশায় আইনজীবী হলেও তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের জন্ম লগ্ন থেকেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করেছেন। যে কারণে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের মধ্যে তাকে অভিভাবক বলা হয়। মতপার্থক্য রয়েছে, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে, কিন্তু তা সত্ত্বেও বুধবার সকালে যেভাবে মানুষের জনজোয়ার এবং উচ্ছ্বাস দেখা গেল তা বিগত কয়েক বছরে বিপ্লব মিত্র কে ঘিরে দেখা যায়নি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের।গতকাল গঙ্গারামপুরে পথসভা করার সময় সুকান্ত মজুমদার, বিপ্লব মিত্রকে নানা ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন এবং দীর্ঘ ৯ বছর বিভিন্ন ভোটে হেরে যাওয়ায় তার নাম হয়েছিল হারু মিত্র, সে কথাও স্মরণ করিয়ে দেন।তার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে আগামী ভোটে সুকান্ত মজুমদারের বিপক্ষে বিপ্লব মিত্র যে কোন বাধা নয় সেটা তিনি বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু রাজনৈতিক তথ্যাভিজ্ঞ মহল মনে করছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বিপ্লব মিত্রকে জেতাতে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী একাট্টা হয়েই লড়বে এবং আগামীদিনে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট লোকসভা আসন একটি গুরুত্বপূর্ণ আসন হিসেবে মান্যতা পেতে চলেছে। একদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অন্যদিকে তৃণমূলের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অভিভাবক বিপ্লব মিত্র, এই দুই গুরুত্বপূর্ণ নেতার রাজনৈতিক লড়াই কতটা চিক্তাকর্ষক হবে তা আগামীদিন বলবে। কিন্তু দুই নেতার জেলায় ফেরাকে নিয়ে কর্মী সমর্থক মধ্যে যে উন্মাদনা তা কিন্তু হাড্ডা হাড্ডি লড়াইয়েরই ইঙ্গিত বহন করে।