• 'রমজান মাসে CAA এনে কেন্দ্র মুসলমানদের কাগজ দেখতে চাইছে,' ক্ষোভ ওয়েইসির
    আজ তক | ১৩ মার্চ ২০২৪
  • রমজানের আগেই লাগু নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন(CAA)। আর তাই নিয়েই সরব আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। তাঁর কথায়, 'এটি মুসলমানদের জন্য কেন্দ্রের বার্তা। এর মাধ্যমে ওরা এটাই বলতে চাইছে যে, আপনারা এখনই কাগজ বের করে দেখান।'

    AIMIM প্রধানের দাবি, 'এখন রমজান মাস। আর এই সময়েই দেশের ১৭ কোটি মুসলমানকে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে যে আপনারা কাগজ বের করুন। এর মাধ্যমে ওরা একটি সম্প্রদায়কেই মেসেজ দিতে চাইছে।' এর আগে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও রমজানের আগে সিএএ বিজ্ঞপ্তির সময় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।

    নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে সরকারকে ক্রমাগত আক্রমণ করছেন ওয়েইসি। গতকাল তিনি সরকারের প্রকাশিত 'পজিটিভ ন্যারাটিভ' নিয়েও মন্তব্য করেছিলেন। সেখানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এই আইন সম্পর্কে কিছু ভুল ধারণা সংশোধন করা হয়েছিল। সেই বিষয়েও উল্লেখ করে আসাউদ্দিন বলেন, 'মানুষের ক্ষতি করার জন্য পরিকল্পিত কোনও বিষয়ে 'পজিটিভ ন্যারাটিভ' বলে কিছু হয় না।'

    রমজানের আগে CAA নিয়ে কী বলেছেন মমতা?
    কেন্দ্র সরকারের তুলোধনা করে, মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমি বুঝতেই পারছি কেন আজকের তারিখটাই রমজানের আগে বেছে নেওয়া হয়েছে। আমি জনগণকে শান্ত থাকার এবং কোনও গুজব এড়ানোর অনুরোধ করব।'

    তিনি বলেন, 'আপনাদের ৬ মাস আগেই এই নিয়মগুলি জানানো উচিত ছিল৷ যদি ভাল কিছু করা হয়, সেক্ষেত্রে আমরা সবসময়েই সেটাকে সাপোর্ট করি এবং প্রশংসা করি। কিন্তু যদি এমন কিছু করা হয়, যা দেশের জন্য ভাল না, সেক্ষত্রে TMC তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাবে।'

    'সিএএকে এনআরসি-এনপিআরের সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে হবে'
    আসাউদ্দিন ওয়েইসি বলেন 'সিএএ-কে এনপিআর এবং এনআরসির সঙ্গে একসঙ্গে দেখা উচিত। অমিত শাহ সংসদে বলেছিলেন, এরপর এনআরসি এবং এনপিআরও আসবে। তা রেকর্ডেও আছে...' বলেন আসাউদ্দিন ওয়েইসি। তিনি বলেন, 'অমিত শাহ অনেক টেলিভিশন সাক্ষাত্কারেও বলেছেন যে দেশে এনপিআর এবং এনআরসি কার্যকর করাই এর মূল উদ্দেশ্য...'

    AIMIM প্রধান বলেন, 'এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা যে এতে মুসলমানরা প্রভাবিত হবে না। নাগরিকত্ব আইনের অধীনে, শুধুমাত্র একটি সম্প্রদায়ের লোকদেরই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। ধর্মীয় ভিত্তিতে প্রত্যাখ্যান করা যাবে না।'

    ওয়েইসি বলেন, 'যদি কেউ নিজের দেশে অত্যাচারের শিকার হয়ে থাকে, তাহলে তা প্রমাণ করার একটা ব্যবস্থা থাকা উচিত ছিল। তাদের নিজের দেশেই অত্যাচার করা হয়েছে। তাহলে কেন শ্রীলঙ্কার তামিল, বার্মিজ হিন্দু এবং তিব্বতি বৌদ্ধদের বাইরে রাখা হল? আপনারা যদি আশ্রয়প্রার্থীদের রক্ষা করতে চান, একটি শরণার্থী আইন তৈরি করুন।'
  • Link to this news (আজ তক)