• তৈরি হচ্ছে চা-সুন্দরি প্রকল্পের বাড়ি, খুশি শ্রমিকরা
    ২৪ ঘন্টা | ১৩ মার্চ ২০২৪
  • অরূপ বসাক: দ্বিতীয় দফায় চা সুন্দরী প্রকল্পের ঘর তৈরি হচ্ছে মানাবাড়ি চাবাগান এলাকায়।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ডুয়ার্সের চা বলয়ে বাস করা শ্রমিকদের আবাসন সমস্যা মেটাতে চা সুন্দরী প্রকল্প শুরু করেন। অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে মানাবাড়ি সহ বিভিন্ন চাবাগানে গড়ে ওঠে দুটি বেড রুম, কিচেন, ডাইনিং রুম ও টয়লেট নিয়ে কয়েকশ ঘর। গত বছর ১৯ জানুয়ারি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হাত দিয়ে চা সুন্দরী প্রকল্পের ঘর উদ্বোধন হয়। এরপর বেনিফিসিয়ারিদের হাত ঘরের চাবি তুলে দেওয়া হয়। ঘর পেয়ে খুশি হয় শ্রমিকরা।

    ডুয়ার্সের মানাবাড়ি চাবাগান এক সময় দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। গত তিন বছর ধরে নতুন মালিকের হাত নতুন ভাবে চলা শুরু হয়েছে।শ্রমিক বস্তিতে আবাসন, রাস্তা, পানীয়জল সহ অন্যান্য সমস্যা রয়েছে। এই কারণে এই চাবাগানের উপর বিশেষ নজর রয়েছে রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণীর কল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী বুলু চিক বরাইকের। ইতিমধ্যে জলপ্রকল্পের কাজ করা হয়েছে। ২০৬টি চা সুন্দরী প্রকল্পের ঘর তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়। ইতিমধ্যে ৪৪ ঘরের কাজ শেষ হয়েছে। ৪৪ টি ঘরের  চাবি তুলে দেওয়া হয় চা শ্রমিকদের হাতে। বাকি ঘরের কাজ দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে।প্রসঙ্গত, মানাবাড়ি চা বাগানে প্রায় সাড়ে আট একর জমির ওপর এক কোটি চার লক্ষ চুরানব্বই হাজার টাকা প্রকল্প ব্যয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় সবমিলিয়ে  মোট ২০৬টি শ্রমিক আবাসন গড়ে তোলার কাজ হবে। প্রথম দফায় যার মধ্যে  ৪৪ টি বাড়ি তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় বাকি ঘরগুলো তৈরি হচ্ছে। দুটো শোয়ার ঘর, খাবার ঘর, রান্নাঘর ও শৌচাগার মিলিয়ে একেকটি বাড়িতে প্রয়োজনীয় রানিং ওয়াটার ও বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থাও থাকছে।নতুন ছিমছাম ঘর পেয়ে বেজায় খুশি শ্রমিকরা। পাশাপাশি নতুন করে আরও ঘর তৈরি হওয়ায় খুশি এলাকার শ্রমিকেরা।আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রী বুলু চিক বড়াইক বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী সকল মানুষের কথা ভাবেন। সেই জন্য চা শ্রমিকদের জন্য চা সুন্দরী প্রকল্প চালু করেছেন। এতে শ্রমিকেরা নিজের ঘর পেল। চাবাগান থেকে অবসর নেওয়ার পরও শ্রমিকেরা এই ঘরে থাকতে পারবেন। দ্বিতীয় দফায় আরও ঘর তৈরি হচ্ছে। দ্রুত সেই ঘর তৈরি করে চা শ্রমিকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে’। 
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)