সন্দীপ্তা ভঞ্জ: একুশের বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)। গেরুয়া শিবিরের টিকিটে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচনী লড়াইয়ে পরাস্ত হলেও বিরোধী শিবিরের সমালোচনা কিংবা কর্মসূচী নিয়ে সমালোচনা কিন্তু বহাল রেখেছেন রুদ্রনীল। বঙ্গবিজেপির উজ্জ্বল মুখ তিনি। বিধানসভায় হারের পরও কি লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Polls 2024) দল তাঁর উপর আস্থা রাখছে? রাজনৈতিকমহলের অন্দরে জোর গুঞ্জন, লোকসভা ভোটের প্রার্থী হচ্ছেন রুদ্রনীল ঘোষ। এপ্রসঙ্গে সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল-এর তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল অভিনেতার সঙ্গে।
কী বললেন অভিনেতা? রুদ্রনীলের মন্তব্য, ?বিজেপি যেহেতু সর্বভারতীয় দল, আর এই সিদ্ধান্ত একদম চূড়ান্ত হয়, অনেকগুলো মিটিংয়ের পরে। ফলত, এই যে তেইশটা নাম পড়ে আছে, সেখানে কারা কারা প্রার্থী হচ্ছেন, বা কোথা থেকে প্রার্থী হচ্ছেন, সেই সম্পর্কে জানা কিন্তু কষ্টকর শুধু নয়, অসাধ্যও বটে! মানুষের ভালোবাসা, চাহিদা, ইচ্ছে, কর্মীদের দাবি, সেটা অন্য বিষয়। সেরকম জায়গা থেকে সত্যি বলছি আমি জানি না প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে। আমাদের রাজ্যস্তরের যে নেতারা রয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেও প্রার্থী ঠিক হয়। অন্তর্দলীয় সিদ্ধান্তও ম্যাটার করে। আমরা তো অর্জুন সিং সম্পর্কেও জল্পনা শুনছি যে, প্রার্থী তালিকায় ওঁরও নাম রয়েছে। আজকে সন্ধেবেলার মধ্যেই সব ধোঁয়াশা পরিষ্কার হবে। তবে কানাঘুষো শুনেছি ঠিকই।? অতঃপর শেষপাতে, রুদ্রনীল যে লোকসভার প্রার্থী হওয়ার জল্পনা জিইয়েই রাখলেন, তা বলাই বাহুল্য। এরপরই রুদ্রনীল ঘোষের সংযোজন, ?টিকিট পাই বা না পাই, প্রচারের ময়দানে অবশ্যই থাকব।?
বাংলায় বিজেপির সংস্কৃতি সেলের ভারপ্রাপ্ত রুদ্রনীল ঘোষ। গত বিধানসভা ভোটের পর দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচীতে তাঁর পারফরম্যান্স দেখেই এমন গুরুদায়িত্ব পেয়েছেন। জোড়াফুল থেকে পদ্ম শিবিরে যোগ দিয়েই সিনেইন্ডাস্ট্রি থেকে কয়লাচুরি, গরুপাচার বিভিন্ন বিষয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক সব অভিযোগ করেছিলেন নেতা-অভিনেতা। অতীতে ছিলেন বাম সমর্থক। পরে গত বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কম কটাক্ষ, সমালোচনার শিকার হতে হয়নি তাঁকে। এবার বিজেপির তরফে রুদ্রনীল ঘোষ লোকসভা ভোটের টিকিট পাচ্ছেন বলেও শোনা যাচ্ছে।