• 'ক্যা' নিয়ে বিবৃতি প্রত্যাহার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের
    আজকাল | ১৪ মার্চ ২০২৪
  • বীরেন ভট্টাচার্য, দিল্লি: নাগরিকত্ব সংশোধন আইন মুসলিম সমাজের জন্য ভাল হবে বলে জারি করা বিবৃতি প্রত্যাহার করে নিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পিআইবির তরফে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, এই আইন ইসলাম ধর্মকে বদনাম থেকে বাঁচাবে। নাগরিকত্ব সংশোধন আইন, ২০১৯ সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা শীর্ষক বিজ্ঞপ্তি প্রশ্নোত্তরের আকারে জারি করা হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, ভারতের মুসলিমদের নাগরিকত্বে এই আইন কোনও প্রভাব ফেলবে না। সন্ধ্যা ৬.৪৩টা নাগাদ এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। যদিও সাড়ে ৯টা নাগাদ এই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।বিজ্ঞপ্তিতে একটি প্রশ্ন রাখা হয়, ইসলাম ধর্মালম্বীদের ওপর এই আইনের কী প্রভাব পড়বে? সেই প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, "উল্লেখিত তিনটি মুসলিম প্রধান দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়নের কারণে সারা দুনিয়ায় ইসলাম ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হচ্ছে। যদিও একটি শান্তি প্রধান ধর্ম হিসেবে ইসলাম ধর্ম ঘৃণা, হিংসা অথবা ধর্মের ভিত্তিতে নিপীড়নকে সমর্থন করে না।" আরও বলা হয়, "এই আইনে যেহেতু বিধান নেই, ফলে এই আইন কার্যকর হওয়ায় ভারতীয় মুসলিম সমাজের ওপর কোনও প্রভাব পড়বে না।" স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, এই আইন নিয়ে মুসলিম সমাজ এবং পড়ুয়াদের একাংশের উদ্বেগ পুরোপুরি অযৌক্তিক। দেশের নাগরিকত্ব ব্যবস্থা আরও পোক্ত করা এবং অবৈধ পরিযায়ীদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এই আইন কার্যকর করা হয়েছে। কী কারণে এই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে, তা জানা যায়নি।পশ্চিমবঙ্গ সহ দক্ষিণের রাজ্যগুলি জানিয়েছে, তাদের রাজ্যে ক্যা কার্যকর করতে দেওয়া হবে না। নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের আবেদন যাচাই এবং অন্যান্য প্রক্রিয়ার দায়িত্ব আদম সুমারি এবং ডাক বিভাগের আধিকারিকদের ওপর দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আবেদনকারীর ব্যআকগ্রাউন্ড যাচাই করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আইবি সহ নানান কেন্দ্রীয় সংস্থার কর্তাদের ওপর। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কর্তাদের দাবি, ক্যা নিয়ে রাজ্যের সেভাবে কোনও বক্তব্য থাকবে না। এদিকে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, " তিন দেশের সংখ্যালঘুদের নাগরিত্ব দেওয়া সম্পর্কে আমি শুনেছি, বিজেপি তাদের ভোটব্যাঙ্ক বাড়াতে চায়। এটা এই ভোটে হবে না, তবে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের পর প্রভাব ফেলবে। আমাদের সন্তানদের চাকরি দিতে পারছে না বিজেপি, পাকিস্তানের সন্তানদের দিতে চায়। আমাদের অধিকারের বাড়ি পাকিস্তানের লোকজনদের দিতে চায় কেন্দ্র। "
  • Link to this news (আজকাল)