• ঘরে ঘরে ধুম জ্বর-সর্দি-কাশি, COVID নাকি? ডাক্তাররা যা জানালেন...
    আজ তক | ১৪ মার্চ ২০২৪
  • বাতাস জানান দিচ্ছে, বসন্ত এসে গেছে। সঙ্গে নিয়ে এসেছে জ্বর-সর্দি। কারণ সকাল ও রাতে হালকা ঠাণ্ডা আবহাওয়া, দুপুরে বেশ গরম। আবহাওয়ার এই তারতম্যেই কী শরীর খারাপ হচ্ছে আট থেকে আশির? কলকাতার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, জ্বর ও কাশি নিয়ে তাদের ক্লিনিকে প্রচুর মানুষ আসছেন। যদিও জ্বর বেশিরভাগই এক বা দুই দিনের মধ্যে কমে গেলেও, কাশি এক সপ্তাহ বা তার বেশি সময় ধরে থাকছে।

    ঘরে ঘরে সর্দি-কাশি নিয়ে জেরবার বাচ্চা থেকে বুড়ো। আবহাওয়া পরিবর্তন, নাকি দূষণ? নাকি নতুন কোনও ভাইরাসের উপস্থিতি! ভাবাচ্ছে চিকিৎসকদেরই। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ঘরে ঘরে ঠান্ডা-জ্বরের হানা নতুন নয়। কিন্তু কাশি কমছে না, কেন? জ্বর-জ্বালা কমে গেলেও কাশি থেকে যাচ্ছে। বিষয়টিতে কী বলছেন বিশিষ্ট চিকিৎসকরা

    সকালে হালকা ঠান্ডা, তারপরে বিকেল পর্যন্ত গরম। আবার একটি শীতল রাত, ভাইরাসগুলিকে আরও সক্রিয় করে তুলছে এবং সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলছে বলে মনে জানিয়েছেন এক চিকিৎসক। দক্ষিণ কলকাতার এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, তিনি গত কয়েকদিন ধরে গলা জ্বালায় ভুগছিলেন। রবিবার সর্দি ও কাশি শুরু হয়।

    বেহালার এক বাসিন্দা জানালেন, তাঁর সাত বছরের মেয়ের নাক দিয়ে জল পড়ছে। যেকারণে স্কুল যাওয়া বন্ধ রয়েছে তার। বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালের একজন ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ বলেছেন, তাঁর ওপিডি ক্লিনিক নাক দিয়ে সর্দি, জ্বর এবং কাশির রোগীতে আপাতত ভর্তি। তাঁর দাবি, এগুলি বেশিরভাগই ওপরের শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ। তাপমাত্রার ওঠানামা সংক্রমণে সহায়তা করতে পারে। তাপমাত্রার একটি ওঠানামা ভাইরাস এবং সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়ায়। যাদের হাইপার-রিঅ্যাকটিভ এয়ারওয়ে আছে তারা দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়ছে। 

    সংক্রমণ বেড়ে গেলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ারও প্রয়োজন হয়ে পড়ছে। তবে সেই হার বয়স্কদের মধ্যে বেশি। গত সাত থেকে দশ দিনে এই সমস্যা বেড়েছে। বহু মানুষ ডাক্তারখানায় আসছেন, যাদের জ্বর নেই। কিন্তু ক্রমাগত কাশি হচ্ছে। কাশি এক সপ্তাহ বা তার বেশি সময় ধরে চলছে।

    একজন শিশু বিশেষজ্ঞ জানালেন, তার ক্লিনিকে ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের ভিড়। কিছু শিশু অ্যাডেনোভাইরাস পজেটিভ। কয়েকটি শিশু প্যারা-ইনফ্লুয়েঞ্জাকে আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়াও কয়েকটি শিশুর মধ্যে সংক্রমণ নিম্ন শ্বাসতন্ত্রে ছড়িয়ে পড়েছে। যেকারণে খুব গুরুত্ব দিয়ে তাঁদের চিকিৎসা করা হচ্ছে।

    কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার অঞ্জন চৌধুরী বললেন, 'এগুলি ভাইরাল অসুখ। ঋতু পরিবর্তনের সময় থাবা বসায়। ভয়ের কিছু নেই। তবে শিশু ও বয়স্কদের বাড়তি সাবধানতা নেওয়া দরকার। এছাড়াও বিভিন্ন কারণে জ্বর-কাশি-সর্দি হতে পারে। তবে এগুলো করোনা নয়।'

     
  • Link to this news (আজ তক)