• মৃত্যু নিশ্চিত করতে নারকীয় অত্যাচার! ভবানীপুরে ভব্য-খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য
    ২৪ ঘন্টা | ১৪ মার্চ ২০২৪
  • অয়ন ঘোষাল: মারধর, তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে চলে নারকীয় অত্যাচার! কীভাবে? নিমতা খুনে ময়নাতদন্তে রিপোর্টের উল্লেখ, প্রথমে ব্যাট নিয়ে মাথায় আঘাত করা হয় নিহত ব্য়বসায়ীকে। শেষে লিউকোপ্লাস্ট দিয়ে শ্বাসরোধ, এমনকী গলাও টিপে ধরেন অভিযুক্তরা। গভীর ক্ষত পাওয়া গিয়েছে নিহতের মাথা, গলা, আঙুল ও চোখে। ধৃতদের ১৪ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। 

    পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ব্যবসায়ীর নাম ভব্য লাখানিয়া। ভবানীপুরে প্রিয়নাথ মল্লিকের রোডের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। ওষুধের ব্যবসা করতেন। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, রবিবার নিমতার প্রমোদ মিত্র লেনে ব্যবসায়িক সহযোগী অনির্বাণ গুপ্তের সঙ্গে দেখা করতে যান ওই ব্যবসায়ী, কিন্তু আর ফেরেননি। এরপর সেদিনই মিসিং ডায়েরি করা হয় থানায়। ২ দিন পার। আজ, বুধবার নিমতায় ব্যবসায়িক সহযোগীর বাড়িতে জলের ট্যাংকের নিচ থেকে ভব্য লাখানির দেহ উদ্ধার করল পুলিস। গ্রেফতার করা হয়েছে অনির্বাণ গুপ্ত ও সুমন দাস নামে ২ জনকে।এদিন উত্তরবঙ্গ  সফর থেকে ফিরেই ভবানীপুরে নিহত ব্যবসায়ীর বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী। পরিবারের লোকেদের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, স্থানীয় কাউন্সিলর অসীম বসু।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমরা খুবই দুঃখিত। একটা দুঃখের খবর পেয়েছিলাম সকালবেলায় শিলিগুড়িতে। মিটিং ক্যানসেল করে এখানে চলে এসেছিলাম। যিনি মারা গিয়েছেন, তিনি অত্যন্ত  সাদাসিধে মানুষ ছিলেন। ওষুধের দোকান ছিল। ওষুধের ব্যবসা করতেন। তাঁর সাথে একজন ব্য়বসা করত, তাঁকে ডেকে নিয়ে যায়। এবং ডেকে নিয়ে গিয়ে যেভাবে নির্মমভাবে হত্যা করেছে...ওরা পরশুদিন মিসিং ডায়েরি করে।  তারপরে পুলিস লাগাতার চেষ্টা করে,  কেসটাকে উদ্ধার করে। এবং শেষপর্যন্ত ধরে ফেলে, যাঁরা খুন করেছিল। এরা অপরাধী নয়, অপরাধীদের থেকেও বড় অপরাধী'। 
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)