চোখ ফুঁড়ল গুলি, বকুনির ভয়ে বাড়িতে জানাল না শিশু, তার পর?
প্রতিদিন | ১৪ মার্চ ২০২৪
অভিরূপ দাস: চোখের তলায় বুলেট নিয়ে ৪৮ ঘন্টার লড়াই! চলচ্চিত্রের গল্প নয়, খাঁটি বাস্তব। এমনটাই হয়েছে চার বছরের অদ্রিজা পালের সঙ্গে। সে যেন বাস্তবের ভিক্টর জোকাস। জেমস বন্ডের গল্পের সেই দুর্ধর্ষ খলনায়ক। যাঁর মাথার মধ্যে আটকে থাকত বুলেট। বর্ধমানের চার বছরের অদ্রিজার মাথায় নয়, বুলেট আটকে ছিল নাক আর চোখের সংযোগস্থলে। কঠিন লড়াইয়ের পর তাকে নতুন জীবন দিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ।
মামার সঙ্গে স্থানীয় সিংহবাহিনী মেলায় গিয়েছিল ঘুরতে গিয়েছিল ছোট্ট অদ্রিজা। বন্দুক দিয়ে বেলুন ফাটাচ্ছিলেন মামা। আচমকাই সামনে চলে আসে সে। মামা বন্দুকের ট্রিগার টিপতে মুহূর্তে গুলি ঢুকে যায় অদ্রিজার নাক আর চোখের সংযোগস্থলে। ভয়ে বাড়িতে কিছু জানায়নি মামা-ভাগ্নি। বাড়িতে জানতে চাইলে বলে মেলায় পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু যন্ত্রণা বাড়তে থাকায় বুধবার সকালে সমস্ত ঘটনা খুলে বলেন মামা।
প্রথমে তাকে নিয়ে যাওয়া গ্রামীণ হাসপাতালে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর মা নন্দিতা পাল ও বাবা অমর পালের সঙ্গে অদ্রিজা আসে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। তড়িঘড়ি সিটি স্ক্যান করা হয়। চোখের তলা থেকে অস্ত্রোপচার করে বের করা হয় বুলেটটি। অস্ত্রোপচার টিমের নেতৃত্বে ছিলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ইএনটি বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ডা. দীপ্তাংশু মুখোপাধ্যায়। এছাড়াও ছিলেন অমিত শুক্লা, শ্রীতা সরকার, প্রদ্যুম্ন কুণ্ডু। অ্যানাস্থেসিস্টের দায়িত্বে ছিলেন ডা. অমিত শুক্লা।