এ বার যারা মাধ্যমিক পাশ করেছে, তারা সিমেস্টার প্রক্রিয়ায়
দেবে উচ্চ মাধ্যমিক। যে সব পড়ুয়াদের প্রথম ভাষা বাংলা, তাদের তৃতীয় সিমেস্টারে
পড়তে হবে শ্রীজাতর লেখা ‘অন্ধকার লেখাগুচ্ছ’, যাতে রয়েছে রাজনীতির ছোঁয়া। চিরঞ্জীব জানিয়েছেন, বাংলা এবং
ইংরেজির পাঠ্যক্রমে বড় বদল হয়েছে। সব থেকে বেশি বদল হয়েছে বাংলার পাঠ্যক্রমে। তার
পরেই রয়েছে ইংরেজি। বাংলায় বেশ কিছু কবিতা এবং গদ্য পরিবর্তন করা হয়েছে। আগে যে
কবি বা সাহিত্যিকের কবিতা বা গদ্য পড়ানো হত, তাঁদের নতুন কবিতা এবং গদ্য এ বার
সংযোজিত হয়েছে পাঠ্যক্রমে।
চিরঞ্জীব জানিয়েছেন, ইতিহাসেও অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। ১৮৫৭ সাল থেকে ভারতের ইতিহাস থাকছে
পাঠ্যক্রমে। মহাত্মা গান্ধী, আজাদ হিন্দ ফৌজের কার্যকলাপ থেকে স্বাধীনতার পরবর্তী
ইতিহাস বিশেষত, ১৯৭১ সালের মু্ক্তিযুদ্ধও পড়তে হবে পড়ুয়াদের। ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ কেন হয়েছিল, ভারতের কী
ভূমিকা, বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠন, এ সবই পড়তে হবে পড়ুয়াদের।
সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব জানিয়েছেন, বিজ্ঞানের পাঠ্যক্রমে
খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি। বিজ্ঞান নিয়ে যারা পড়ছে, তাদের বেশির ভাগই
প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা দেবে। তার জন্য পাঠ্যক্রমে কিছু অদলবদল করা হয়েছে।
উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্যক্রমে ৬২টি বিষয়ের মধ্যে তিনটি বিষয়
বাদ গিয়েছে। পরিবর্তে আরও
তিনটি এসেছে। গুজরাতি, ফরাসি, পঞ্জাবি, এই তিন বিষয় বাদ গিয়েছে। গত পাঁচ বছরে বার্ষিক ১০ জন করে
পরীক্ষার্থীও এই বিষয়গুলি পড়তে চায়নি। সে
কারণে এই সিদ্ধান্ত। ওই তিন বিষয়ের পরিবর্তে অ্যাপ্লিকেশন অফ আর্টিফিশিয়াল
ইন্টালিজেন্স, সাইবার সিকিউরিটি (যারা বিজ্ঞান নিয়ে পড়বে, শুধু তারাই নিতে
পারবে), সায়েন্স অফ ওয়েল বিয়িং থাকছে পাঠ্যক্রমে। অ্যাগ্রোনমি বিষয়টির নাম বদলে হয়েছে এগ্রিকালচার। ফিজিক্যাল এডুকেশনের
নাম বদলে হয়েছে হেলথ অ্যান্ড ফিজিক্যাল এডুকেশন।