• আগরতলায় সিএএ-বিরোধী যুব জমায়েত, বিজেপি-কে হারানোর ডাক মানিকের...
    আজকাল | ১৫ মার্চ ২০২৪
  • সমীর ধর, আগরতলা: বৃহস্পতিবার আগরতলায় সিএএ-র বিরুদ্ধে হল বড়সড় যুব জমায়েত। লোকসভা ভোট সামনে রেখেই এর আয়োজন করেছিল সিপিএমের দুই যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই এবং উপজাতি যুব ফেডারেশন। ছিল কাজ ও নেশামুক্তির দাবিও। অংশগ্রহণকারীদের অর্ধেকই ছিলেন উপজাতি অংশের। এটা দেখে সর্বত্র প্রশ্ন উঠেছে, ত্রিপুরায় পাহাড়ের ছবি কি আবার বদলাতে শুরু করেছে ? ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পাহাড়ে ধস নামার পর বামেদের কর্মসূচিতে উপজাতিদের আগের মতো দেখা যাচ্ছিল না। এদিন ছবিটা দৃশ্যতই ছিল অন্যরকম। "গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড" গঠনের জন্য এবং সিএএ-র বিরুদ্ধে "লাস্ট ফাইট" বলে বাজার গরম করা প্রদ্যোতকিশোর বিক্রম মানিক্য দেববর্মা এখন কার্যত বিজেপির বোতলবন্দি। তাঁর তিপ্রা মথা বিজেপি সরকারে যোগ দিলেও দলের দুই মন্ত্রীকে এখনও দপ্তর দেওয়া হয়নি। পূর্ব ত্রিপুরা উপজাতি সংরক্ষিত লোকসভা আসনে বিজেপি-র সমর্থনে তিপ্রা মথা-র প্রার্থী দেওয়ার কথা শোনা গেলেও বাস্তবে সেটা হয়নি। প্রদ্যোতকিশোর নিজের বড় বোন, ত্রিশ বছর আগে ছত্তিশগড় রাজপরিবারের বধূ হয়ে চলে যাওয়া কৃতি সিং দেববর্মাকে ত্রিপুরায় এনে ওই আসনে বিজেপি প্রার্থী মনোনীত করায় দলে চাপা অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, ত্রিপুরার জনজাতিদের সমস্যা সম্পর্কে যাঁর কোনও ধারনা নেই তাঁকে ছত্তিশগড় থেকে এনে সাংসদ করার চেষ্টা কেন, কার স্বার্থে ! দিল্লি থেকে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই পদ্ম-প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করেছেন। তিপ্রা মথা সভাপতি বিজয়কুমার রাংখলকে প্রার্থী করার প্রস্তাব ছিল দলের এক অংশের। প্রদ্যোত তখনই জানিয়ে দেন, তিনিই প্রার্থী ঠিক করবেন। এমন একজনকে প্রার্থী করবেন "যিনি সংসদে তাঁদের চুক্তি কার্যকরের পথ রুদ্ধ করবেন না "! কিন্তু, অভিযোগ উঠছে, তথাকথিত ওই চুক্তিতে বাস্তবে কিছুই নেই। আসলে তিপ্রা মথা দলটাকে তথা তিপ্রাসা-দের "থানসা"(ঐক্য)-কে বিজেপি-র কাছে বিক্রি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত লোকসভা ভোটে পূর্ব ত্রিপুরা আসনে নিজের ছোট বোন প্রজ্ঞা দেববর্মাকে কংগ্রেসের প্রার্থী করেছিলেন তখনকার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদ্যোতকিশোর। এই আবহাওয়ার মধ্যেই পাহাড়ের হারানো জমি পুনরুদ্ধারের চেষ্টায় মাঠে নেমে পড়েছে সিপিএম। বৃহস্পতিবারের মিছিলে হেঁটেছেন, জমায়েতে বক্তব্যও পেশ করেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, সিএএ-র বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা আদিবাসী অধিকার মঞ্চের সর্বভারতীয় সভাপতি, সিপিএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন চৌধুরি প্রমুখ। মানিক সরকার তরুণদের জীবন বাজি রেখে বিজেপি-কে ত্রিপুরার দুই কেন্দ্রেও পরাজিত করার ডাক দেন। উপজাতি যুব ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কুমুদ দেববর্মা তীব্র আক্রমণাত্মক ভাষণে প্রদ্যোতকিশোর মানিক্য দেববর্মা-কে সরাসরি "বিশ্বাসঘাতক" বলে আখ্যায়িত করেন।
  • Link to this news (আজকাল)