'কালীপুজোর রাতে মৃত্যুর খবর যখন এল, জীবনে অমাবস্যা নেমে এল' সুব্রতস্মৃতিতে কাতর মুখ্যমন্ত্রী
২৪ ঘন্টা | ১৫ মার্চ ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ২০২১ সালের নভেম্বরে থেমে গিয়েছিল তাঁর রাজনৈতিক যাত্রা। বর্ণহীন হয়ে গিয়েছিল বাংলা তথা ভারতের সংসদীয় রাজনীতির আসর। তিনি সুব্রত মুখোপাধ্যায়। কংগ্রেস আমল থেকে তৃণমূল আমল পর্যন্ত বিস্তৃত যাঁর কেরিয়ার। আজ, বৃহস্পতিবার সেই সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মূর্তি উন্মোচন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মূর্তি উন্মোচন করতে এসে মূর্তি যে তাঁর পছন্দ হয়নি তা-ও জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের অবয়ব পছন্দ হয়নি মুখ্য়মন্ত্রীর। মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে তিনি 'সুব্রতদা'র অবয়বের মুখটা বদলে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে বলেন।দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সঙ্গীর মূর্তি উন্মোচন করতে এসে একটি সংক্ষিপ্ত স্মৃতিচারণাও করেন তিনি। তাঁর দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহচর। সেই বাম আমল থেকে একসঙ্গে অনেক লড়াই-আন্দোলন-প্রতিবাদ-প্রতিরোধ করেছেন। ফলত, তাঁর সিনিয়র সুব্রতকে নিয়ে অনেক পুরনো কথাই মনে পড়ে যাচ্ছিল মমতার।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন-- '''এভারগ্রিন' ক্লাব যতদিন থাকবে, ততদিন সুব্রতদা বেঁচে থাকবেন। আমার অভিভাবক ছিলেন সুব্রতদা। তাঁর হাত ধরে ছাত্র রাজনীতি করেছি। হকার উচ্ছেদের সময় আমার জন্য একবার গ্রেফতার হতে হয় সুব্রতদাকে। বনধ ডেকেছিলেন, আমি বললাম, চলুন মিছিল করব।''ক্রমশ স্মৃতির পাতা উল্টে যান মুখ্য়মন্ত্রী, ''২৬ বছর বয়সে মন্ত্রী হন। সুশাসক....অত্যন্ত দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতেন। চলে যাওয়াটা দুঃখের। চলে যাওয়ার কথা নয়। মেনে নিতে পারি না। আরও ৮-১০ বছর থাকার কথা ছিল। পুজোর সময় এখানেই থাকত। কিছুতেই মেনে নিতে পারি না। এত প্রাণচঞ্চল মানুষ! কী করে একটা অ্যাঞ্জিওপ্লাস্ট করতে গিয়ে মারা গেল। ... দিলখোলা, সরল মনের মানুষ ছিল। কালীপুজোর রাতে মৃত্যুর খবর যখন এল, আমাদের জীবনে অমাবস্যা এল। মৃত্যুর দু'দিন আগে গেছিলাম। মৃত্যুর কথাই ছিল না! কী করে কী হল, জানি না!''স্পষ্টতই আবেগপ্রবণ হয়ে-পড়া মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ''বাইরে যখনই যেতেন আমার জন্য একটা গিফ্ট নিয়ে আসতেন। ২০১১ সালে জেতার পরে বিধানসভায় এক সিপিএম বিধায়ককে দেখে বললেন, দ্যাখ, দৃশ্যদূষণ! ... আমরা যেন ভুলে না যাই, আজ আনন্দের দিন নয়। সবাই যেন (ওর) জন্ম আর মৃত্যুদিনটা পালন করেন। একটা মানুষের মৃত্যু হয়, কিন্তু কর্মটা থেকে যায়।''