সাংসদ হয়ে যাননি ৫ বছরেও, মতুয়া গুরুর আশীর্বাদ না নিয়েই ফিরতে হল লকেটকে!
২৪ ঘন্টা | ১৫ মার্চ ২০২৪
বিধান সরকার: মতুয়া গুরুর আশীর্বাদ না নিয়েই ফিরতে হল লকেট চট্টোপাধ্য়ায়কে। বৃহস্পতিবার পান্ডুয়ার পাঁচগড়া গ্রামের মতুয়া ধামে গুরু হরশিত গোঁসাই-এর আশীর্বাদ নিতে যান হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রার্থী হওয়ার পরই এই ধামে গিয়েছিলেন লকেট। সেখানে গিয়ে গুরুদেবের আশীর্বাদ নিয়েছিলেন। ২০১৯-এ হুগলি লোকসভা থেকে প্রায় ৮০ হাজারেরও বেশি ভোটে জয়লাভ করে সাংসদ হন লকেট। এবার ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনেও হুগলি কেন্দ্রে তাঁর উপরই ভরসা রেখেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। প্রার্থী হওয়ার পর আজই মতুয়া ধামে যান লকেট। যদিও নির্ধারিত সময়ের এক ঘন্টা পর তিনি যখন ধামে পৌঁছন, তখন গুরুদেব গাড়িতে করে বেরিয়ে গিয়েছেন।এরপর ধামের উপাসনা ঘরে হরিচাঁদ, গুরুচাঁদের মূর্তির সামনে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করতে যান সাংসদ। কিন্তু সেখানেও তাঁকে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। কারণ গুরুদেব না থাকায় ভিতরে ঢোকার অনুমতি পাচ্ছিলেন না। পরে বিজেপির জেলা সভাপতি তুষার মজুমদার বিভিন্ন জায়গায় ফোন করে ভিতরে ঢোকার ব্যবস্থা করেন। এরপরই লকেট চট্টোপাধ্যায় পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেন এবং পুজো দেন। পরে ধামের অন্যান্য ভক্তদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। ধাম সূত্রে খবর, সাংসদ হওয়ার পর গত ৫ বছরে লকেট গুরুদেবের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। তার ফলেই হয়ত এদিন বিজেপি সাংসদ দেখা পাননি গুরুর। যদিও আবার পরে এসে গুরুদেবের আশীর্বাদ নিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন লকেট। বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তুষার মজুমদার এপ্রসঙ্গে বলেন, লকেট চট্টোপাধ্যায়ের যেতে কিছুটা দেরি হয়েছিল। গুরুদেবের কাজ থাকার জন্য তিনি বেরিয়ে গিয়েছেন। তবে গুরুদেবের মায়ের সঙ্গে তিনি দেখা করে এসেছেন। কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি আবার যাবেন। ওদিকে লকেট চট্টোপাধ্য়ায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সিএএ প্রসঙ্গে তৃণমূলকে নিশানা করে তিনি বলেন, বাইরে থেকে যাঁরা মতুয়ারা উদ্বাস্তু হয়ে এসেছেন, বাংলাদেশ-পাকিস্তান থেকে যাঁরা পালিয়ে এসেছেন, তাঁদের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় কিছু করেননি। শুধু ভোট ব্যাংক হিসাবে তাঁদের ব্যবহার করেছেন। সিএএ-র ফলে কারোর কিছু কাটা যাবে না, কিন্তু যারা বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে এসেছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। সিএএ-র ফলে মতুয়ারা নিজেদের জমি পাবেন। তাই ভয় পাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়!