গর্জনই সার! ডায়মন্ড হারবারে অভিষেকের বিরুদ্ধে প্রার্থী হচ্ছেন না নওশাদ
প্রতিদিন | ১৫ মার্চ ২০২৪
রমেন দাস: ঘোষণা করেছিলেন অনেক আগেই। বলা ভালো গর্জন করেছিলেন। কিন্তু ভোটের (Lok Sabha 2024) মুখে পিছিয়ে এলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি (Nawsad Siddique)। ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ছেন না নওশাদ। বস্তুত ওই কেন্দ্রটিতে প্রার্থীই দেবে না আইএসএফ (ISF)। বামেদের সঙ্গে আলোচনার পর ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রটি সিপিএমের জন্যই ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের রাজ্য নেতৃত্ব।
বামেদের সঙ্গে আলোচনায় রাজ্যে আইএসএফ যে আটটি আসনে লড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে, সেই তালিকায় নেই ডায়মন্ড হারবার। এদিন দলের বৈঠকের পর আইএসএফের কার্যকরী সভাপতি সামসুর আলি মল্লিক জানিয়েছেন, প্রথমে ২০টি আসনে লড়াই করতে চাইলেও দফায় দফায় আলোচনার শেষে আটটি আসনে প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত, বসিরহাট, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর ও যাদবপুর আসনে প্রার্থী দেবে আইএসএফ। তবে জোট রাজনীতির স্বার্থে ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী দেওয়া হচ্ছে না।
একটা সময় পর্যন্ত মনে করা হয়েছিল ডায়মন্ড হারবারে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোট প্রার্থী হিসাবে লড়বেন নওশাদ সিদ্দিকি। ভাঙড়ের বিধায়ক নিজে সে কথা ঘোষণা করেছিলেন। রীতিমতো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) হারানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন। কিন্তু বামেদের সঙ্গে জোট আলোচনার সময় আইএসএফ ডায়মন্ড হারবারের জন্য আবেদনও জানাল না। বরং তাঁরা দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে মথুরাপুর এবং যাদবপুর আসনে লড়ার দাবি জানাল। আইএসএফের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, যাদবপুরে যদি সিপিএম আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে প্রার্থী করা হয়, তাহলে বিকাশকে সমর্থন করবে দল, নতুবা নিজেদের মতো প্রার্থী দেবে। ডায়মন্ড হারবার ছাড়া মোট ৮টি আসনের যে তালিকা আইএসএফের তরফে দেওয়া হয়েছে, তাতে মুর্শিদাবাদের একটি এবং মালদহের একটি আসনও আছে।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে বামেদের সঙ্গে আসনরফার কথা আইএসএফ বললেও, তাঁরা যে আটটি কেন্দ্রে লড়তে চায়, সেই আট কেন্দ্রের নাম একপেশেভাবে ঘোষণা করে দিয়েছে। আবার বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুও এদিন সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেছেন, ?আইএসএফের ওই ঘোষণার সঙ্গে তাঁদের কোনও সম্পর্ক নেই। আইএসএফ কোন আসনে লড়বে, সেটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।? রাজ্যে আদৌ আইএসএফের সঙ্গে বাম দলগুলির কোনও জোট বা আসন সমঝোতা হবে কিনা, দু-তরফের বয়ানের পর সেটা নিয়ে বড় সংশয়ের জায়গা তৈরি হয়ে গেল।