ভোটের আগে গুরুতর আহত মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা তিনি বাড়িতে পড়ে গিয়ে আহত হন। কপাল থেকে রক্ত বেরিয়ে গড়িয়ে যায় নাক ও গালের দিকে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে আসা হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে। উডবার্ন ব্লকের সাড়ে ১২ নং VVIP কেবিনে দ্রুত ভর্তি করিয়ে শুরু হয়েছে চিকিৎসা। প্রতি মুহূর্তের আপডেট পেতে নজর রাখুন সংবাদ প্রতিদিন ডট ইন-এ।
রাত ১১.১০: কীভাবে বাড়ির মধ্যে ঘটল দুর্ঘটনা? তদন্তে নামছে লালবাজার। সূত্রের খবর, শুক্রবার কালীঘাটের বাড়িতে যাবে লালবাজারের সায়েন্টিফিক উইং, গোয়েন্দা বিভাগের দল। তাঁরা কথা বলতে চান মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে।
রাত ১০.৩২: মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক পরিস্থিতির কথা জানাতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি এসএসকএমের অধিকর্তা ডাঃ মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, পিছন থেকে ধাক্কা খেয়ে মুখ্যমন্ত্রী পড়ে গিয়েছেন। তাঁর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। কপালে ৩টি ও নাকে একটি স্টিচ পড়েছে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেওয়া হলেও তিনি বাড়ি যেতে চেয়েছেন। আপাতত শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকায় ছেড়ে দেওয়া হল।
রাত ১০.১০: বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত সুস্থতা কামনায় সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।
রাত ৯.৩৭: হাসপাতাল চত্বরে কর্মী, সমর্থকদের ভিড় দেখে আপ্লুত মমতা। গাড়িতে বসেই হাত নাড়ালেন তাঁদের উদ্দেশে।
রাত ৯.৩০: সিটি স্ক্যান করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। ফের উডবার্ন ওয়ার্ডে ফেরানো হল। তাঁর সর্বক্ষণের সঙ্গী অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। হাসপাতালে দলের সমস্ত শীর্ষ নেতা। গেলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যও। সকলেই মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনায় প্রার্থনা করছেন। মমতার জন্য প্রার্থনা করেছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও।
রাত ৯.২১: এমআরআই-সিটি স্ক্যানের পর উডবার্ন ওয়ার্ড থেকে হুইল চেয়ারে করে মুখ্যমন্ত্রীকে বের করে নিয়ে যাওয়া হল বাঙ্গুর ইনস্টিটউট অফ নিউরোলজিতে। এখানে রেডিও ইমেজিং, সিটি স্ক্যান করে তাঁর ক্ষতর গভীরতা পরীক্ষা করা হবে। বিশিষ্ট চিকিৎসক শ্যামাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে আনা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের চিকিৎসার জন্য।
রাত ৯.১০: মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সোশাল মিডিয়ায় পোস্টে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অধীর চৌধুরী।
রাত ৯.০২: চিকিৎসকরা জানান, মুখ্যমন্ত্রীর রক্তপাত বন্ধ হয়েছে। তাঁর ক্ষতর জায়গায় চারটি সেলাই পড়েছে। জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
রাত ৮.৫০: মুখ্যমন্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরই দ্রুত প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করেন চিকিৎসকরা। রিপোর্ট দেখে তাঁরা জানান, আপাতত স্থিতিশীল মুখ্যমন্ত্রী। তবে কপালের ক্ষততে স্টিচ করা প্রয়োজন।