সুতপা সেন ও মৌমিতা চক্রবর্তী: আপাতত কিছুদিন থাকবে বাড়িতেই। মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা এখনও স্থিতিশালী। সকালে হাল্কা খাবারও খেয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর তেমনই।
ঘটনাটি ঠিক কী? আছন্ন অবস্থায় রয়েছেন মমতা। কপাল ফেটে গলগল করে রক্ত বেরোচ্ছে! তৃণমূল এক্স হ্যান্ডেল থেকে এমনই ছবি প্রকাশ করা হয়। জানানো হয়, 'আমাদের চেয়ারপার্সন গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। দয়া করে তাঁকে প্রার্থনায় রাখবেন'। এরপর কালীঘাটের বাড়ি থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে আনা হয় এসএসকেএমে। সঙ্গে ছিলেন অভিষেক।তৃণমূল সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার নিজের বাড়িতেই হাঁটছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তখনই কোনওভাবে পড়ে যান তিনি। এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসার পর, রাতেই কালীঘাটের বাড়িতে ফেরেন মমতা। চিকিৎসকের পরামর্শে কারও সঙ্গে দেখা করেননি এদিন দিনভর। মুখ্যমন্ত্রী বাড়িতে গিয়েছিলেন কলকাতা পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়েল ও মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাঁদের সঙ্গে অবশ্য কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।এদিকে কীভাবে আহত হলেন মুখ্য়মন্ত্রী? তদন্তের দাবি তুলেছে বিজেপি। দলের রাজ্য় সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'মু্খ্যমন্ত্রী যেভাবে আহত হয়েছেন, কী হয়েছেন, সেটা তো অবশ্যই তদন্তের বিষয়। যাঁদের তদন্ত করার দায়িত্ব, তাঁরা করবেন। মেডিক্যাল বুলেটিনে বেরিয়েছিল যে, কেউ ওনাকে ধাক্কা মেরেছে। পরের দিন অর্থাৎ আজকে বলা হচ্ছে, ওনার মনে হয়েছে কেউ ওনাকে ধাক্কা মেরেছেন। কী হয়েছে আমরাও জানি না, তদন্ত হওয়া প্রয়োজন'।সুকান্তের মতে, 'মুখ্যমন্ত্রীর সুরক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের ভালো করে দেখা উচিত। প্রয়োজনে সুরক্ষা যদি মনে হয়, আরও বাড়ানো উচিত। প্রয়োজনে আলাদা CM হাউস বানিয়ে সেখানে মুখ্যমন্ত্রীকে রাখা প্রয়োজন'।বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য, 'কালকে যা ঘটেছে, সেটা তো বিপজ্জনক দিক। রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রী, তাঁর নিরাপত্তা, তাঁর জন্য তো অ্যাম্বুলান্স, চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, ফার্স্ট এইডের ব্যবস্থা, কিছুই নেই! হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর, তাঁর রক্ত মোচার পরিবর্তে রক্তমাখা ছবি তোলা হচ্ছে! খুবই বিপজ্জনক দিক। মুখ্য়মন্ত্রীর বাড়িতে না হয়ে, যদি বাইরে হত'!