• গৌতি ভাইয়ের সঙ্গে 'ঘরে ফেরা' স্পেশাল, জানালেন মণীশ
    আজকাল | ১৬ মার্চ ২০২৪
  • সম্পূর্ণা চক্রবর্তী: "ঘর ওয়াপসি" হয়েছে গৌতম গম্ভীরের। কেকেআরের দু"বারের ট্রফি জয়ী অধিনায়ককে নিয়েই যত মাতামাতি। তারই সঙ্গে যে আরও একজনের হোম কামিং হয়েছে, সেটা বোধহয় সবাই ভুলে যেতে বসেছে। সাত বছর পর নাইটদের সংসারে ফিরলেন মণীশ পাণ্ডে। গম্ভীরের সঙ্গেই প্রত্যাবর্তন হল ২০১৪ ফাইনালের নায়কের। দশ বছর আগে চিন্নস্বামীতে মনীশের করা ৯৪ রানেই পাঞ্জাব কিংসকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় কেকেআর। সেই উইনিং জুটি আবার নাইটদের শিবিরে। গৌতির সঙ্গে পুরোনো দলে ফিরতে পেরে খুশি মণীশ। তিনি বলেন, "আমি ছ"বছর পরে ফিরছি। ২০১৭ তে আমি শেষ খেলেছিলাম। কেকেআরে ফিরে মনে হচ্ছে ঘরে ফিরেছি। আমি এখানে চার বছর কাটিয়েছি। কেকেআর থেকে অনেক কিছু পেয়েছি। গৌতি ভাইয়ের সঙ্গে ফিরে আসা খুবই স্পেশাল। আমাদের ইতিহাস ভাল। আইপিএল জিতেছি। তাই দারুণ লাগছে। এখনও খুব বেশি কথা হয়নি। আশা করছি প্রথম ম্যাচের আগে পুরো চিত্র পরিষ্কার হয়ে যাবে। আমার থেকে ম্যানেজমেন্ট কী চায় জেনে যাব। পুরনো অনেকে আছে। সঙ্গে নতুনরাও। কেকেআরের ফিরতে পেরে খুবই ভাল লাগছে।" গৌতম গম্ভীরের অধিনায়কত্বে শেষবার ট্রফি এসেছিল। এবার মাঠের বাইরে থেকে নেতৃত্ব দেবেন নাইটদের মেন্টর। তাঁর কামব্যাক যে ট্রফির আশা বাড়িয়ে দেবে, সেটা মেনে নিলেন নাইটদের মিডল অর্ডার ব্যাটার। মণীশ বলেন, "গৌতি ভাই কেকেআরকে অনেক সাফল্য দিয়েছে। ক্রিকেটজীবনে অসাধারণ লিডার ছিল। মেন্টর হিসেবেও সেই সমান আধিপত্য থাকবে। দলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবে। ওর সঙ্গে আবার কাজ করার সুযোগ পেয়ে ভাল লাগছে। ছেলেরা চার্জড আপ আছে। প্র্যাকটিসে নামার আগে আমাদের একটা ছোট্ট আলোচনা হয়েছে। আশা করব সবকিছু সঠিক দিকেই এগোবে, এবং আমরা মরশুম শেষে ট্রফি পাব।" দশ বছর আগে দলের প্রধান ব্যাটারদের মধ্যে একজন ছিলেন মণীশ। ওয়ান ডাউনে নামতেন। কিন্তু কালের নিয়মে এবার অনেক নতুন এবং তরুণ ক্রিকেটার দলে রয়েছে। প্রথম একাদশে জায়গা পাওয়া চ্যালেঞ্জিং হবে। তবে সেই নিয়ে ভাবছেন না মণীশ। সুযোগের সদ্ব্যবহার করার জন্য তৈরি। মণীশ বলেন, "চন্দু স্যার এবং গৌতি ভাই আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। দলে এই দু"জনকে পাওয়া ভাগ্যের। চন্দু স্যারের অধীনে ঘরোয়া ক্রিকেটে অনেক সাফল্য এসেছে। জিজি মাঠে অনেককিছু শাসন করে। নিজের হাতে নিয়ে নেয়। আশা করছি ভালই হবে। দলে অনেক নতুন প্লেয়ার আছে। আমাকে শূন্য থেকে শুরু করতে হবে। আমাকে যে রোল দেওয়া হবে, সেটা পালন করার চেষ্টা করব। সুযোগ পেলে তার সদ্ব্যবহার করার চেষ্টা করব। প্র্যাকটিস ম্যাচে ভাল খেলে নজরে পড়তে চাই। তবে আসল লক্ষ্য, কেকেআরকে জেতানো।"শোনা যাচ্ছে, পিঠের চোটের জন্য শুরুতে কয়েকটা ম্যাচে খেলতে পারবেন না শ্রেয়স আইয়ার। তবে শনিবার কলকাতায় চলে আসছেন কেকেআরের অধিনায়ক। তাঁর অধিনায়কত্বে খেলার বিষয়েও আশাবাদী মণীশ। এই প্রসঙ্গে বলেন, "শ্রেয়সের সঙ্গে ভারত এবং ভারতের এ দলের হয়ে একসঙ্গে খেলেছি। আমাদের কেমিস্ট্রি ভাল। আশা করছি এনসিএর থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর দ্রুত দলের সঙ্গে যোগ দেবে। ওর অধিনায়কত্বে খেলতে পেরে খুশি। আমার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা হবে।" ২০১৭ সালে কেকেআর ছাড়েন গম্ভীর এবং মণীশ। তাঁরাই যেন নাইটদের ট্রফি ভাগ্য নিয়ে বেরিয়ে যায়। গত ১০ বছরে কলকাতা ফ্র্যাঞ্চাইজির ভাড়ার শূন্য। এবার কি ভাগ্য ফিরবে? চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মূলমন্ত্র কী? মণীশ বলেন, "২০১৪ সালে আমাদের শুরুটা ভাল হয়নি। মাঝে আমরা পরপর কয়েকটা ম্যাচ হেরেছিলাম। তারপর দল হিসেবে আমরা ফিরে আসি। দলের মধ্যে একটা আগুন ছিল, যা দরকার। তারপর টানা সাত ম্যাচ আমরা জিতেছিলাম। শেষপর্যন্ত ট্রফি পাই। কখনও ভাগ্যের ওপর নির্ভর করে। তবে তার থেকেও বেশি নির্দিষ্ট দিনে মাঠে আচরণের ওপর। ভয়ডরহীন আচরণ রাখতে হবে। এগারোজন মিলিত হয়ে সেটা করতে পারলে দলকে নকআউটে নিয়ে যেতে পারব, এবং সেখান থেকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় সুযোগ থাকবে।" ফের গৌতমের সঙ্গে জুটি বেঁধে কি ট্রফি ভাগ্য ফেরাতে পারবেন মণীশ? ইতিমধ্যেই এই প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে।
  • Link to this news (আজকাল)