আমেরিকায় বন্দুকবাজের গুলিতে খুন, ২০ দিন পর দেশের বাড়ি ফিরল বাঙালি নৃত্যশিল্পীর কফিনবন্দি দেহ!
২৪ ঘন্টা | ১৬ মার্চ ২০২৪
প্রসেনজিত্ মালাকার: প্রায় ২০ দিন পর অবশেষে বাংলার ছেলে নৃত্যশিল্পী অমরনাথ ঘোষের কফিনবন্দি নিথর দেহ এসে পৌঁছাল বীরভূমের দেশের বাড়িতে। আমেরিকা থেকে তাঁর মৃতদেহ সিউড়ির রবীন্দ্র সদনে আনা হয়। সেখানে তাঁর মৃতদেহ দেখে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েন সিউড়ির সংগীত এবং নৃত্যশিল্পী মানুষেরা। তাঁদের তরফ থেকে তাকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানানো হয় প্রয়াত অমরনাথ ঘোষকে। অপরদিকে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছেন অমরনাথের কাকা, কাকিমা। তাঁর মৃতদেহ প্রথমে সিউড়ির বিভিন্ন জায়গায় শ্রদ্ধা জানানোর জন্য রাখা হবে এবং তারপর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে। সিউড়ির রবীন্দ্রপল্লির বাসিন্দা ছিলেন অমরনাথ ঘোষ। পেশায় নৃত্যশিল্পী অমরনাথ পেশাগত কারণেই থাকতেন আমেরিকাতে। সেখানে পিএইচডি করছিলেন। প্রায় দিন ২০ আগে অমরনাথের এক আত্মীয়কে ফোন করে তাঁর মার্কিন মুলুকের এক বন্ধু জানান যে, অমরনাথের মৃত্যু হয়েছে। আমেরিকার রাস্তায় তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু সরকারিভাবে তখনও পরিবারকে কিছু জানানো হয়নি। ঘটনার খবর নিশ্চিত করতে তাই পরিবারের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসন ও পুলিসের দ্বারস্থ হয়।অমরনাথের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এরপরই আমেরিকা থেকে মৃতের সম্পর্কের দিদির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় এবং মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। চিকাগোর ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, মার্কিন মুলুকে সেন্ট লুইসে গুলি করে বাঙালি নৃত্যশিল্পী অমরনাথ ঘোষকে খুনের ঘটনা অত্য়ন্ত কড়া ভাবে দেখছে ভারত। বাঙালি নৃত্যশিল্পী অমরনাথ ঘোষের খুনের তদন্তে যেন কোনও ফাঁক না থাকে সেই বিষয়টি সেন্ট লুইস পুলিসের সঙ্গে অত্যন্ত কড়া ভাবে দেখা হচ্ছে। এক অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকবাজের গুলিতে খুন হয়েছেন অমরনাথ। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ও পুলিসের সঙ্গে দূতাবাস যোগাযোগ রেখে চলছে। তদন্তে তাঁদের সহযোগিতা করা হচ্ছে। অভিযুক্তকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।একইসঙ্গে অমরনাথের পরিবারের উদ্দেশে সান্ত্বনা ও সমবেদনাও জ্ঞাপন করে ভারতীয় দূতাবাস। প্রসঙ্গত, মার্কিন মুলুকে বন্ধু অমরনাথের মৃত্যুতে সঠিক তদন্ত ও বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী ও বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রাক্তন বিগ বস প্রতিযোগী ও অভিনেত্রী দেবলিনা ভট্টাচার্য। প্রয়াত শিল্পী পরিবারের একমাত্র সন্তান ছিলেন। বাবা-মা আগেই প্রয়াত হয়েছেন। মা ৩ বছর আগে মারা যান। শৈশবেই বাবা মারা গিয়েছেন।এদিন অমরনাথেরও দেহ এসে পৌঁছাল সিউড়ির বাড়িতে।