• দফার সমালোচনায় তৃণমূল, স্বাগত বিজেপির, দফারফা নিয়ে প্রশ্ন কংগ্রেসের, কিছুই ভাবছে না বামেরা...
    আজকাল | ১৭ মার্চ ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাজ্যে সাত দফাতেই নির্বাচন হতে চলেছে। ২০১৯-এর মতো এবারও সাত দিন ভোট দেবেন রাজ্যের নির্বাচকরা। সাত দফার এই নির্বাচন নিয়ে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস যেমন সমালোচনা করেছে, তেমনই স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে বাম ও কংগ্রেস জানিয়েছে দফার থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের প্রতিটি মানুষের ভোটের অধিকারকে সুরক্ষিত করা। উল্লেখ্য, এরাজ্যের মতো বিহার এবং উত্তরপ্রদেশেও সাত দফায় নির্বাচন হতে চলেছে। এদিন মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের ঘোষণার পরেই রাজ্যের মন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, "আমরা এক বা দু"দফায় নির্বাচন চেয়েছিলাম। কারণ, দফা বাড়লে ভোটারদের অতটা উৎসাহ থাকে না। সংখ্যাও কম হয়।"তৃণমূলের এই বক্তব্যের বিরোধিতা করে রাজ্য বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, "বিহার এবং উত্তরপ্রদেশ বিজেপি শাসিত রাজ্য। সেখানেও সাত দফায় ভোট হবে। আসলে এক দফা বা দু"দফায় ভোট হলে তৃণমূলের ভোট লুট করতে সুবিধা হবে। সেজন্যই তারা এই সাত দফার বিরোধিতা করছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি।" এই দফা নিয়ে মাথা ঘামাতে রাজি নয় কংগ্রেস ও বাম। রাজ্য সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য বলেন, "আমাদের কাছে সাত দফা বা ১০ দফাটা কোনও বিষয় নয়। ২০১১-র পর তৃণমূল এরাজ্যে প্রতিটি নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করে ভোটারদের অসহায় আত্মসমর্পণে বাধ্য করেছে তার বিরুদ্ধে মানুষ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রুখে দাঁড়িয়েছেন। এই নির্বাচনে তার বিস্তার আরও বেশি করে ঘটবে। এই নির্বাচনে সবচেয়ে বড় ইস্যু দুর্নীতি। এই দুর্নীতি থেকে মুক্তি পেতে গোটা রাজ্যের মানুষ বামপন্থীদের বেছে নেবেন এবিষয়ে আমাদের কোনও সন্দেহ নেই।" দফা প্রসঙ্গে রাজ্য কংগ্রেসের মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় বলেন, "কত দফায় ভোট হচ্ছে সেটার থেকেও বড় বিষয় হল দফা যেন "দফারফা" না হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে যেন হাজার দুয়ারী বা যাদুঘরে বসে না থাকে। প্রতিটি মানুষের ভোটের অধিকারকে সুরক্ষিত রাখার সঙ্গে এটাও মাথায় রাখতে হবে ভোটে যেন একফোঁটাও রক্তপাত না হয়।"
  • Link to this news (আজকাল)