• 'আমি হেডলাইনে নয়, ডেডলাইনে বিশ্বাসী', বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
    আজ তক | ১৭ মার্চ ২০২৪
  • 'হেডলাইনে নয়, আমি ডেডলাইনে বিশ্বাসী'। ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভ ২০২৪-এর মঞ্চে এই এক কথায় নিজের সরকারের দিশা তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সঙ্গে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্র দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তার খতিয়ানও দেন। 

    অনেকেই বলেন, সময়ে কাজ শেষ করায় বিশ্বাসী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর সরকারের কাজকর্মেও দেখা গিয়েছে সেই ছবি। ২০১৪ সালের পর থেকে একের পর এক সরকারি প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে সম্পন্ন হয়েছে। একটা সময় সরকারি কাজ মানেই ছিল ষোলো মাসে বছর! সেই ধারা বদলেছেন মোদী। লাল ফিতে ফাঁস সরিয়ে সরকারি কাজে এসেছে দুরন্ত গতি। সেটাই মনে করিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন,'গোটা বিশ্ব অনিশ্চয়তার ঘূর্ণিপাকে, তখন একটা ব্যাপার স্পষ্ট, ভারত দ্রুত গতিতে উন্নতি করতে থাকবে। আজ দেশবাসীর মনের কথা একটাই, বিকশিত ভারত গড়তে হবে। আমি এই ধরনের কনক্লেভে আসলে আপনারা আশা করেন, হেডলাইন দিয়ে চলবে যাব। তবে আমি হেডলাইনে নয়, ডেডলাইনে বিশ্বাস করি'। 

    স্টার্টআপের কথাও উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়,'১০ বছর আগে পর্যন্ত মাত্র শ'খানেক স্টার্টআপ ছিল। আজ প্রায় ১.২৫ লক্ষ নিবন্ধিত স্টার্টআপ রয়েছে গোটা দেশে। ভারতের স্টার্টআপ বিপ্লবের পরিচিতি শুধু এটাই নয়! স্টার্টআপ মানে বেঙ্গালুরু নয়, দেশের ৬০০টি জেলায় স্টার্টআপ রয়েছে। অর্থাৎ টায়ার ২ এবং ৩ শহরের যুবকরা স্টার্টআপ বিপ্লবের নেতৃত্ব দিচ্ছে। ছোট শহরের যুবকরা ভারতের স্টার্টআপ বিপ্লবে গতি এনেছে'।

    কংগ্রেসের নাম না করে তিনি যোগ করেন,'যে দলটি কখনও স্টার্টআপের কথা বলেনি, তারাও স্টার্টআপ নিয়ে কথা বলতে বাধ্য হচ্ছেন। কর্মসংস্থান এবং স্ব-কর্মসংস্থানের মাধ্যমে বড় পরিবর্তন আনছে মুদ্রা যোজনা প্রকল্প। ঋণ নিতে গ্যারান্টি দিতে হত। কিন্তু আমাদের প্রকল্পরে যুবকরা গ্যারান্টি ছাড়াই ঋণ পাচ্ছেন। এই প্রকল্পের অধীনে ২৬ লক্ষ কোটি টাকার মুদ্রা ঋণ দেওয়া হয়েছে'।

    আরও একটি সরকারি প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন,'পিএম স্বনিধি স্কিমের মাধ্যমে রাস্তার বিক্রেতারা গ্যারান্টি ছাড়াই সস্তা এবং সহজে ঋণ পেয়েছেন। আমার জীবনের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, গরিবের ঘরে ঐশ্বর্য দেখেছি, আবার ধনীর দারিদ্র্যও দেখেছি। আমার স্বপ্ন ছিল রাস্তার বিক্রেতাদের সাহায্য করা। কোভিডকালে দেখেছি, এই রাস্তার বিক্রেতারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তখন আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে তাঁদের সাহায্য করব। এই রাস্তার বিক্রেতারা ভারতের ডিজিটাল বিপ্লবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। অথচ তাঁদের অশিক্ষিত বলা হয়েছিল। বিদেশ থেকে লোকে এসে এখন রাস্তায় কিনে ডিজিটালি টাকা মেটাচ্ছেন।'
  • Link to this news (আজ তক)