নিমন্ত্রণ বাড়ির খাবারে খেয়ে অসুস্থ শিশু সহ ১১২, চাঞ্চল্য সাঁইথিয়ায়
এই সময় | ১৭ মার্চ ২০২৪
একটি শ্রাদ্ধানুষ্ঠান বাড়ির খাবার খেয়ে অসুস্থ ১১২জন। ঘটনায় হইচই বীরভূম জেলার সাঁইথিয়া এলাকায়। বেশিরভাগ অসুস্থদের সিউড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অসুস্থদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাসপাতালে গিয়ে অসুস্থদের সঙ্গে দেখা করেন আসেন স্থানীয় বিধায়ক। অসুস্থদের পর্যাপ্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে দাবি অতিরিক্ত জেলা শাসকের।স্থানীয় এক শ্রদ্ধবাড়ির খাবারের বিষক্রিয়ায় প্রাথমিকভাবে অসুস্থ ছিলেন ৭২ জন। পরে অসুস্থদের সংখ্যা বেড়ে হয় ১১২ জন। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের সাঁইথিয়া থানার অন্তর্গত সংড়া পঞ্চায়েতের পাগলাডাঙ্গা গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুর ও বিকাল বেলায় সরলা সরেন নামক এক মহিলার শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের কাজ ছিল। সেখানেই স্থানীয় তিন-চারটি গ্রাম যেমন মৃতদাসপুর, কামারশাল ও পাগলাডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দারা সেই কামানের কাজে গিয়ে মুড়ি এবং বোঁদে খান। আর তারপরেই শনিবার সন্ধ্যা থেকেই বমি ও শরীর খারাপ দেখা দিতে শুরু করে ছোট শিশুদের।
পরে অসুস্থদের সংখ্যা ধীরে বাড়তে থাকলে তা থানাকে জানানো হয়। পরে পুলিশের তত্ত্বাবধানে অসুস্থদের নিয়ে আসা হয় সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। আজ বিষক্রিয়ায় আক্রান্তদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন সিউড়ির তৃণমূল বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, লাভপুরের তৃণমূল বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, সিএমওএইচ হিমাদ্রী আড়ি সহ অন্যান্যরা।
এদিন রোগীদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সংবাদমাধ্যমের কাছে হাসপাতালের সুপারের প্রতি কিছুটা ক্ষোভ উগড়ে দেন বিকাশ রায়চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘সুপারের হাসপাতালে থাকা উচিত ছিল।’ যদিও সঙ্গে সঙ্গে সিএমওএইচ বিধায়ককে জানান, যে আদালতের কাজের জন্য তিনি বাইরে আছেন। শনিবার রাত দেড়টা পর্যন্ত অসুস্থদের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৭২ জনে। ৭২ জন অসুস্থর মধ্যে ৪০ জনের বেশি রয়েছে শিশু। পরে সংখ্যাটা আরও বাড়তে থাকে। অসুস্থদের সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করার পর তাঁদের শারীরিক পরিস্থিতি ও কারণ খতিয়ে দেখতে হাসপাতালে এসে রোগী ও তাদের আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক উন্নয়ন বিশ্বজিৎ মোদক, মহকুমা শাসক সুপ্রতীক সিনহা, সাঁইথিয়া ব্লকের বিডিও, সাঁইথিয়া থানার ওসি সিউড়ি থানার আইসি সহ অন্যান্যরা।
সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অতিরিক্ত জেলা শাসক বলেন, ‘আমি হাসপাতালে এসে রোগী ও তাদের আত্মীয়তার সঙ্গে কথা বলে দেখলাম খাবারে বিষক্রিয়া থেকে এই ঘটনা ঘটেছে বলে আমাদের প্রাথমিক অনুমান।’ তিনি জানান, এই ঘটনা ঘটলো তা আমি খতিয়ে দেখতে বলেছি। এর আগেও এরকম ঘটনা রাজনগরে ঘটেছে তবে এক্ষেত্রে সেই রকম আশঙ্কাজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। তাদেরকে স্যালাইন ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। প্রত্যেকেরই শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল।