• ‘বিরোধীপক্ষ নিয়ে কোনও বক্তব্য নেই!’ লকেটকে হারাবেন কী ভাবে? রবিবাসরীয় প্রচারে সিক্রেট ফাঁস রচনার
    এই সময় | ১৭ মার্চ ২০২৪
  • হুগলি জুড়ে ঝোড়ো প্রচার শুরু করে দিয়েছেন দিদি নম্বর ওয়ান। রবিবাসরীয় প্রচারেও সিমলাগড় কালি মন্দিরে পুজো প্রচার শুরু করলেন C। রাজনৈতিক লড়াই কতোটা? চিরপরিচিত হাসি দিয়ে রচনা বললেন, ‘মানুষের ভালোবাসা দিয়েই ভোটে জিতব।’ কেন্দ্রটি পুনরুদ্ধারের ব্যাপারে একশো শতাংশ আশাবাদী তিনি।লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়েছে গতকাল। আর আজ প্রচারের প্রথম রবিবার সকাল থেকেই প্রচারে নেমে পড়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের অভিনেত্রী প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার সকালে পাণ্ডুয়া ব্লকের সিমলাগড় কালীবাড়িতে পুজো দিয়ে তিনি প্রচারের কাজ শুরু করেন।

    বিরোধী প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সে তাঁর কাজ করুক, আমি আমার কাজ করব।' হুগলি লোকসভা পুনরুদ্ধার করার যাবে কিনা সেই প্রসঙ্গে তাঁর মত, ‘আমরা ১০০% নিশ্চিত। হুগলির মানুষের উপর ভরসা আছে, দিদির উপর ভরসা আছে, আমরা জিতবো। লকেটের সঙ্গে দেখা হলে ওনাকেও নমস্কার করবে এখন সবাইকেই নমস্কার করছি। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রচনা বলেন, ‘দারুণ সারা পাচ্ছি। আমি অভিভূত এবং ভাবতে পারিনি হুগলির মানুষ আমাকে এমন ভাবে সমর্থন করবে, পাশে থাকবে। যেখানেই যাচ্ছি সেখানেই মানুষ ভালোবাসা আশীর্বাদ পাচ্ছি। আগামীদিনে যেন তাঁদের পাশে থাকতে পারি, সেটাই আমার মূল লক্ষ্য।’

    মানুষের ভালোবাসা দিয়েই ভোটে জিতব।তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়

    হুগলিতে বিজেপির প্রার্থীর বিরুদ্ধে পোস্টার পড়া শুরু হয়েছে। যা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিরোধী পক্ষ নিয়ে কোন বক্তব্য নেই। আমি আমার দলের জন্য এসেছি। আমার দলকে যে জেতাব। বিরোধীপক্ষ কী করছে, কাকে গালিগালাজ করছে তা দেখার সময় আমার নেই।’

    হুগলি লোকসভা কেন্দ্র একনজরে -

    ১৯৮৯ সাল থেকে এই কেন্দ্রে টানা জিতে এসেছেন সিপিএম প্রার্থী রূপচাঁদ পাল।২০০৯ সালে এই কেন্দ্রে প্রথম জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী রত্না দে নাগ এই কেন্দ্র থেকে ৫২.৩৭ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন।২০১৯ সালে এই কেন্দ্রে ভোটের ফল বদলে যৌ। ৪৬.০৩ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়।সিঙ্গুর, চন্দননগর, চুঁচুড়া, বলাগড়, পাণ্ডুয়া, সপ্তগ্রাম, ধনিয়াখালি এই সাতটি বিধানসভা নিয়ে এই লোকসভা আসন গঠিত।গত বিধানসভা নির্বাচনের বিচারে এই সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রেই জয়লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

    রবিবার দুপুর বারোটা নাগাদ সিমলাগড় কালি মন্দিরের উপস্থিত হন রচনা। সেখানে ছিলেন পাণ্ডুয়ার বিধায়ক তথা প্রাক্তন সাংসদ রত্না দে নাগ, তৃণমূল হুগলি জেলা সভাপতি অরিন্দম গুঁইন, ধনিয়াখালির বিধায়ক অসীমা পাত্র সহ জেলা নেতৃত্ব। সেখানে পুজো দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে দেখা করেন। সকলের সাথে সেল্ফি নেন।এরপর সেখান থেকে হুডখোলা গাড়িতে দলীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে আর্ত্তি গ্রামে সাধারণ মহিলা ও মানুষজনের সঙ্গে জনসংযোগ করেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের অভ্যর্থনা গ্রহণ করেন।
  • Link to this news (এই সময়)